ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: জেলায় ৭০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনের প্রস্তুতি নেন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শনিবারের (১৮ জানুয়ারি) হরতালের প্রস্তুতি হিসেবে ও তারা নাশকতা করবেন এমন সন্দেহে মোটরসাইকেলগুলো আটকায় যৌথবাহিনী। পরে হরতালের প্রস্তুতির প্রমাণ না মেলায় কাগজপত্র চেক করা হয়। এ সময় কাগজপত্র ও হেলমেট না থাকাসহ কয়েকটি অপরাধে ৪৫টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের জিলা স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ময়মনসিংহের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে রাতদিন কাজ করছে। তবে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) হরতাল পালন না করতে পারলেও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও সতর্ক রয়েছে। এরই মধ্যে বিকেলে হঠাৎ ৭০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করতে জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হয় অনেকে। ওসি বলেন, তারা হরতালের প্রস্তুতির জন্য আগের দিন নাশকতা করতে শোডাউন করছে এমন সন্দেহে মোটরসাইকেলগুলো আটকায় যৌথবাহিনী। পরে হরতালের প্রস্তুতির প্রমাণ না মেলায় গাড়িগুলোর কাগজপত্র চেক করা হয়। এ সময় কাগজপত্র ও হেলমেট না থাকাসহ কয়েকটি অপরাধে সবগুলো গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৫টির কোনো কাগজপত্র না থাকায় ট্রাফিক বিভাগে রেখে দিয়ে ২৫টি গাড়ি তাদের মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোটরসাইকেল শোডাউন যারা বের করেছিল, তারা সবাই বিভিন্ন স্কুল-কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী বলেও জানিয়েছেন ওসি মো. সফিকুল ইসলাম। ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় আশিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হরতালের ডাক দেওয়ার বিষয়টি আমরাও অডিওতে শুনেছি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) তাদের কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। দিনব্যাপী ময়মনসিংহ শহরসহ উপজেলাগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবে। কেউ মাঠ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা এর উপযুক্ত জবাব দেবে। জেবি