লাইফস্টাইল ডেস্ক
ঢাকা: শহুরে জীবনে একঘেয়েমি কাটাতে আজকাল অনেকেই কুকুর, বিড়াল,খরগোশ, পাখি ইত্যাদি প্রানী পুষে থাকেন বাসায়। যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষা প্রানী হল বিড়াল। আকারে ছোট, দেখতে মিষ্টি এবং মানুষের ঘনিষ্ঠ হওয়াতে পোষা প্রানী হিসেবে অনেকেরই প্রথম পছন্দ বিড়াল। কিন্তু যত্ন নেয়ার সঠিক নিয়ম না জানায় প্রায় সময় বিড়াল অসুস্থ হয়ে যায়, এমনকি মারাও যায়। পোষা প্রাণীর মৃত্যু মানেই জীবনে বিষাদের ছায়া। তাই আমাদের এর যত্ন সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত। চলুন জেনে নেই কয়েকটি সহজ টিপস, যা আপনার বিড়াল বাবুকে সুস্থ রাখতে ভুমিকা রাখবে-
বিড়ালের যত্ন নিতে যে ১০টি বিষয় আপনার জানা উচিত
১। বিড়ালকে খাওয়ানো
বিদেশি ব্রিডের বেশিরভাগ বিড়াল প্যাকেটজাত ক্যাটফুড খেয়ে অভ্যস্ত। এক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের ফুড কেনা উচিত। এসব খাবার সাধারণত স্যামন মাছ, স্যাকার মাছ,মুরগির নরম মাংস থেকে বানানো হয়। তবে বয়সভেদে খাবারের উপকরণ আলাদা হয়ে থাকে।
যেসব বিড়াল ঘরোয়া খাবারে অভ্যস্ত তাদেরকে, যেকোনো মাছ,মুরগি,পাখির মাংস সেদ্ধ করে দিতে পারেন সামান্য ভাত মিশিয়ে। ভাতের পরিমান বেশি হলে বিড়ালের পেটে ক্রিমি সহ অনেক সমস্যা দেখা যায়। কোনভাবেই বিড়ালের খাবারে হলুদ,মরিচ,আদা,রসুন,পেয়াজ ইত্যাদি মসলা দেয়া যাবে না। যদি পরিবারের জন্য রান্না করা মসলাদার খাবার থেকে বিড়ালকে খাওয়ান তাহলে ভালো করে ধুয়ে মসলা ফেলে দিতে হবে।
২। গ্রুমিং
বিড়াল পরিস্কার প্রানী তাই সবসময় গোসলের প্রয়োজন পরে না। মাসে একবার এবং গরমকালে মাসে ২ বার যথেষ্ট। তবে প্রতিদিন লোমগুলো চিরুনি করে দিতে হয় প্রতিদিন।
৩। হ্যান্ডলিং
আপনার বিড়াল বাবুকে কোলে নিতে এক হাত সামনের পায়ের পিছনে এবং অন্যটি পিছনের অংশের নীচে রাখুন। ঘাড়ের আঁচড়ে বা সামনের পা দিয়ে কখনই বিড়ালকে উঠাবেন না।
৪। হাউজিং
ঘুম এবং বিশ্রামের জন্য আপনার বাড়িতে তার নিজস্ব পরিষ্কার, শুকনো জায়গা থাকা উচিত।
একটি নরম, উষ্ণ কম্বল বা তোয়ালে দিয়ে আপনার বিড়ালের বিছানা তৈরি করুন।
বিছানাটি কিছু দিন পর পর ধোয়া নিশ্চিত করুন।
৫। বিড়ালের লিটার বক্স
বিড়ালের মল মুত্র ত্যাগের জন্য একটি বাক্স রাখতে হয় যেটাতে শুকনো বালু/কাঠের গুড়া/লিটার পাউডার রাখতে হয়। এর ভিতর থেকে মল মুত্র প্রতিদিন তুলে ফেলে দিতে হয়। সপ্তাহে একদিন পুরো বক্সটি পরিস্কার করতে হয়।লিটার বাক্স পরিষ্কার করার সময় অ্যামোনিয়া, ডিওডোরেন্ট বা গন্ধ, বিশেষ করে লেবু ব্যবহার করবেন না।
৬। নখ কাটা
প্রতি দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর বিড়ালের নখ কাটা উচিত,।
স্ক্র্যাচিং অর্থাৎ আঁচড়ানোর জন্য কাঠের কিছু দেয়া উচিত তাকে জেটি ৩ ফুট উচ্চতায় থাকবে।
৭। স্বাস্থ্য পরিক্ষা
বিড়ালকে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য পশু হাসপাতালে নেয়া উচিত।
৮। ওষুধ
বিড়ালকে কখনোই মানুষের অষুধ দেয়া উচিত না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত সব সময়।
৯। স্পায়িং এবং নিউটারিং/ বন্ধ্যাকরণ
আপনার বিড়ালটিকে যদি সন্তান জন্ম দেয়াতে না চান তাহলে, স্ত্রী বিড়ালদের স্পা করা উচিত এবং পাঁচ মাস বয়সের মধ্যে পুরুষ বিড়ালদের নিউটার করা উচিত।
১০। বিড়ালের টিকা
আপনার পশু চিকিৎসক আপনার বিড়ালের বয়স এবং স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে সুপারিশ করবেন। তাদের প্রয়োজনীয় টিকা গুলো যথাসময়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
অনেকের কাছেই তার পোষা প্রাণীটি সন্তান তুল্য। তাই এই সন্তানের যত্নে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0