বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার মূলে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা: শফিকুল

null

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত সময়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার পেছনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সেই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। ভবিষ্যতে গণমাধ্যমে যাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হস্তক্ষেপ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে গণমাধ্যম সংস্কারের ১৩ দফা প্রস্তাবনা পেশ করে ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’ নামের এক সংগঠন। প্রেস সচিব বলেন, স্বৈরাচারের আমলে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার মূলে ছিল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি–ডিজিএফআই ও এনএসআই। ভবিষ্যতে যাতে ফ্যাসিবাদী সিস্টেম তৈরি না হয়, সে জন্য যেসব এডিটোরিয়াল ও রিপোর্টার ফ্যাসিবাদী বয়ান দিত, তাদের বের করা উচিত। শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। তারা 11 পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পেলে আমরা আলোচনায় বসব। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের যথার্থ বেতন না দেওয়ার বিষয়ে বেসিক ও ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করতে হবে। কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি। এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালো কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস। প্রেস সচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনার চোরতন্ত্রের অনেকগুলো পিলার ছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন নসরুল হামিদ বিপু। তাই রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনের নাম পরিবর্তন করা যায় কি না, সেটা আপনারা ভেবে দেখবেন। তিনি আরও বলেন, প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া। এই চুরি করার কারণে আপনার আমার বেতনটা কমে যাচ্ছে। কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট আমাদের দেশে নাই বলে সবাই চুরি করে।