Logo

মানসিক কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব

ছোট ছোট মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা সময়মতো যত্ন না নিলে পরে বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

সুমাইয়া আরবি স্বর্ণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ঢাকা: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। ঠিক যেমন শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন, তেমনি মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও সময়মতো সঠিক সহায়তা।

এ বিষয়ে বাংলাফ্লো প্রতিনিধির সাথে এক সাক্ষাতকারে লিভিং উইথ ওয়েলনেস নামক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কর্মরত সাইকোলজিস্ট সুমাইয়া আরবি স্বর্ণা বলেন—

“শরীরে অসুখ হবার মতো করেই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও দেখা দিতে পারে নানামুখী সমস্যা। আর সমস্যা হলে তার সমাধানের ব্যবস্থা করাও উচিত নির্দ্বিধায়। ছোট ছোট মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা সময়মতো যত্ন না নিলে পরে বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। মানসিক কাউন্সেলিং তাই অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, মানসিক কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব কয়েকটি দিক থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে:

১. মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে

কাউন্সেলিং উদ্বেগ, হতাশা ও স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। কাউন্সেলররা সহানুভূতির সঙ্গে কথা শুনে উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন।

২. আত্মবিশ্বাস ও মূল্যবোধ বাড়াতে সহায়ক

নিজের ভাবনা ও অনুভূতির গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারেন, যা সম্ভব হয় পেশাদার কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে।

৩. পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে

পারিবারিক, দাম্পত্য কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা নিরসনে কাউন্সেলিং অত্যন্ত কার্যকর। এটি বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৪. মানসিক রোগ প্রতিরোধ করে

ডিপ্রেশন, এংজাইটি কিংবা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে সময়মতো পদক্ষেপ নিতে কাউন্সেলিং সাহায্য করে।

৫. আত্মহত্যার ঝুঁকি হ্রাস করে

যাদের মধ্যে অতিরিক্ত হতাশা বা আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়, তাদের মানসিক সমর্থন ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে কাউন্সেলিং সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।

সুমাইয়া আরবি স্বর্ণার মতে,

“মানসিক সুস্থতা মানেই ভালোভাবে বাঁচা। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একান্ত প্রয়োজন।”

বাংলাফ্লো/আফি

Related Posts বিনোদন

Leave a Comment

Comments 0