বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ক্যামেরার পেছনে এত চুমু খান, তাই পর্দায় খান না’

সংগীতা বিজলানি থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাই, সোমি আলি এবং ক্যাটরিনা কাইফ— বহুবার তাঁর নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন অভিনেত্রীর সঙ্গে। সালমান নিজেও তাঁর ছয়টি সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।

ছবি-সংগৃহীত

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান, যিনি প্রায় তিন দশক ধরে নায়কের আসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। নাম, যশ, খ্যাতি—সবকিছুই তাঁর হাতের মুঠোয়। ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে তাঁর প্রভাব নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই; তিনি যেমন এক কথায় কোনো নবাগতের জীবন গড়ে দিতে পারেন, তেমনই চাইলে কারও ক্যারিয়ার শেষও করে দিতে পারেন। ক্যাটরিনা কাইফের মতো বহু নায়িকাকে তিনিই বলিউডে পথ দেখিয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে সালমান খানের প্রেম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সর্বদাই তুঙ্গে। সংগীতা বিজলানি থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাই, সোমি আলি এবং ক্যাটরিনা কাইফ— বহুবার তাঁর নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন অভিনেত্রীর সঙ্গে। সালমান নিজেও তাঁর ছয়টি সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। তবে কারো সঙ্গেই ঘর বাঁধা হয়নি তাঁর। আর তাই প্রায় ৫৯ বছর বয়সেও তিনি বলিউডের সবচেয়ে যোগ্য এবং আলোচিত অবিবাহিত পুরুষ।

ব্যক্তিগত জীবনে এমন ‘লাভার বয়’ ইমেজ থাকা সত্ত্বেও, সিনেমার পর্দায় সালমান সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষ। সেখানে তিনি একের পর এক প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করলেও, নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াতে তাঁর রয়েছে কঠোর আপত্তি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি তাঁর এই ‘নো কিসিং পলিসি’ বজায় রেখেছেন। কিন্তু কেন এই নিয়ম? সেই রহস্যই সম্প্রতি ফাঁস করেছেন তাঁর ভাই আরবাজ খান।

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এই নীতিতে বিশ্বাসী সালমান খান। তবে মজার বিষয় হলো, তিনি নিজের এই সিদ্ধান্ত মাত্র একবারই ভেঙেছিলেন— আর তা ছিল অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের জন্য। নব্বইয়ের দশকে মুক্তি পাওয়া সাড়া জাগানো সিনেমা ‘জিত’-এ একটি দৃশ্যে কারিশমা কাপুরের ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছিলেন সালমান। কিন্তু ভক্তদের এবং নির্মাতাদের কাছে সেটাই ছিল প্রথম এবং শেষ। এরপর কারিশমার সঙ্গে জুটি বেঁধে আরও অনেক কাজ করলেও, নির্মাতাদের শত অনুরোধেও তিনি আর এই পথে হাঁটেননি।

এই নীতির প্রতি তিনি কতটা কঠোর, তার প্রমাণ মেলে অনেক বছর পরেও। ২০১৭ সালে নির্মাতা আলি আব্বাস জাফর ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ সিনেমার জন্য তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে চর্চিত জুটি সালমান-ক্যাটরিনাকে নিয়ে একটি চুম্বনের দৃশ্যের অনুরোধ করেন। কিন্তু সালমান সেই প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দেন।

অবশেষে বছর খানেক আগে একটি কমেডি শো-এর মঞ্চে এই ‘নো কিসিং পলিসি’র প্রসঙ্গ উঠলে, সালমানের সামনেই তাঁর ভাই আরবাজ খান এর এক বিস্ফোরক এবং মজার কারণ জানান। আরবাজ বলেন, “আসলে ও (সালমান) ক্যামেরার পিছনে এত চুমু খায় যে, পর্দায় আর চুমু খাওয়ার প্রয়োজনই পড়ে না।” ভাইয়ের মুখে এমন আকস্মিক এবং ব্যক্তিগত মন্তব্য শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যান সালমান খান, যা দেখে দর্শকরাও তুমুল আনন্দ পান।

কারণ যা-ই হোক— আরবাজের মজার মন্তব্য অথবা পারিবারিক দর্শকদের জন্য নিজের পর্দার ইমেজকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত— সালমানের এই ‘নো-কিসিং পলিসি’ তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত এক অধ্যায় হয়েই রয়েছে।

বাংলাফ্লো/এইচএম

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0