এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: আজ যিনি নিজের বাড়িতে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হয়ে, কান্নাভেজা চোখে সামাজিক মাধ্যমে জীবনের নিরাপত্তা চাইছেন, সেই অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তই ২১ বছর আগে বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে হারিয়ে দিয়েছিলেন আজকের হলিউড সুপারস্টার ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ খ্যাত গ্যাল গ্যাডটকে। সময়ের এই অদ্ভুত পরিহাস এবং দুই তারকার ভাগ্যবদলের গল্প এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে।
২০০৪ সালে ইকুয়েডরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা। সেই মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ‘মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ তনুশ্রী দত্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিযোগী ছিলেন গ্যাল গ্যাডট।
আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স দিয়ে তনুশ্রী দত্ত জায়গা করে নিয়েছিলেন প্রতিযোগিতার সেরা দশ-এ। কিন্তু গ্যাল গ্যাডট সেরা পনেরোতেও পৌঁছাতে পারেননি।
গ্যাল গ্যাডট পরে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি সেই সময়ে জেতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না এবং তাঁর আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল।
অন্যদিকে, সেরা দশে জায়গা করে নেওয়ার পরেই বলিউডের দরজা খুলে যায় তনুশ্রীর জন্য। ইমরান হাশমির বিপরীতে ‘আশিক বানায়া আপনে’ দিয়ে তাঁর সফল অভিষেক হয় এবং এরপর তিনি ‘ঢোল’, ‘গুড বয় ব্যাড বয়’-এর মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন।
কিন্তু ২১ বছর পর, ভাগ্য যেন পুরোপুরি উল্টে গেছে। গ্যাল গ্যাডট আজ হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের একজন, বিশ্বজুড়ে তাঁর খ্যাতি। আর তনুশ্রী দত্ত পর্দা থেকে প্রায় হারিয়েই গেছেন। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে তাঁকে তাঁর নিজের বাড়িতেই নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি এতটাই অসহায় যে, সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে কান্নায় ভেঙে পড়ে সাহায্য চাইতে দেখা গেছে।
একসময় যিনি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক ছিলেন, আজ তাঁর চোখে-মুখে শুধু ভয় আর হতাশা। তনুশ্রী ও গ্যাল গ্যাডটের এই ভাগ্যবদলের গল্প প্রমাণ করে, বাস্তব জীবন সিনেমার চেয়েও অনেক বেশি নাটকীয়।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0