এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: ‘এই দিন দিন না আরো দিন আছে’— হুমায়ূন আহমেদের লেখা এই একটি গান দিয়েই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলার ঘরে ঘরে। তিনি কিংবদন্তি লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। সম্প্রতি তিনি তাঁর নতুন গান ‘শরম শরম করে’ প্রকাশ করলেও, বর্তমানে তিনি বেশি সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে তাঁর রসিকতাপূর্ণ দুই-চার লাইনের পোস্ট যেমন নেটিজেনদের বিনোদন দেয়, তেমনই এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, নিজের গানের কপিরাইট নিয়ে তিনি কতটা সচেতন এবং কড়া।
কুদ্দুস বয়াতি জানান, তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা তাঁর গান গাইলে তিনি খুশি হন, কারণ এতে গানগুলো বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি হিস্যা বুঝে নিতে ছাড়েন না।
তিনি বলেন, “আমার গানের কপিরাইট আছে। সেগুলো অনেকে গেয়েছে। আমি কিছু কিছু ধরেছি। তারা আমার সঙ্গে সমঝোতায় এসেছে। তাদের বলছি, তোমরা কিছু নাও আমাকেও কিছু দাও।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এরা যদি গানগুলোর লাইসেন্স করে তাহলে তাদের আটকাব।”
তিনি আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেন, তাঁর বিখ্যাত গান ‘যমুনার জল দেখতে কালো’ হুমায়ূন আহমেদ তাঁর ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ সিনেমায় ‘সংগৃহীত’ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কুদ্দুস বয়াতি বলেন, “যেদিন বসুন্ধরাতে বিশেষ প্রদর্শনী হয় সেদিন তাকে (হুমায়ূন আহমেদ) বলেছিলাম, গানটি সংগৃহীত দিয়েছেন কেন? গান তো আমার। স্যার তখন বললেন, ‘এটা তো তোমার গানই’। স্যার হয়তো ভুলবশত সংগৃহীত লিখেছিলেন।”
এ ছাড়াও, সংগীতশিল্পী লায়লা তাঁর ‘আক্কেলে ছাগল বন্দি’ গানটি ভুলভাবে গাওয়ায়, সেটির কপিরাইট নিয়েও প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
কুদ্দুস বয়াতি এখন বেশিরভাগ সময় গ্রামেই থাকেন। ফেসবুকে তিনি প্রায়ই গ্রামের জীবন এবং পুরনো বন্ধুদের নিয়ে ভিডিও দেন। তিনি বলেন, “সবার সাথে থাকা আরকি। ...মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে, সবার মন প্রফুল্ল রাখতে লিখি।”
সব মিলিয়ে, কুদ্দুস বয়াতি প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু একজন মাটির কাছাকাছি থাকা শিল্পীই নন, বরং আধুনিক সময়ে নিজের শিল্পকর্মের অধিকার নিয়েও তিনি অত্যন্ত সচেতন একজন ব্যক্তিত্ব।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0