এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: তিনি শুধু পর্দার ‘নায়ক’ নন, বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের সত্যিকারের ‘অভিভাবক’ও বটে। সেই পরিচয় আরও একবার প্রমাণ করলেন টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যখন একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট, ঠিক তখনই ইন্ড্রাস্ট্রিকে বাঁচাতে এক ব্যতিক্রমধর্মী এবং সাহসী উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলেন তিনি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রসেনজিৎ ঘোষণা দেন, তিনি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ১০০টি আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করবেন।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো, দর্শকদের আবার সিনেমা হলমুখী করে বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা। প্রসেনজিৎ বলেন, “সিনেমা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আত্মপরিচয় আর গভীর আবেগের জায়গা। আগে প্রতিটি শহরেই একাধিক সিনেমা হল ছিল। মানুষ পরিবারসহ হলে গিয়ে সিনেমা দেখত। এখন সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। আমি চাই নতুন প্রজন্ম ফের ফিরে পাক হলের সেই অভিজ্ঞতা।”
জানা গেছে, এই ১০০টি সিনেমা হল হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে থাকবে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম, আরামদায়ক আসন, ডিজিটাল প্রজেকশন এবং মাল্টিপ্লেক্সের আদলে বিন্যাস। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই হলগুলোতে বাংলা সিনেমা এবং স্থানীয় নির্মাতাদের জন্য আলাদা অগ্রাধিকার থাকবে, যা নতুন নির্মাতাদের জন্য এক বড় সুযোগ তৈরি করবে।
প্রসেনজিতের এই বিশাল এবং সময়োপযোগী উদ্যোগে প্রশংসার ঝড় বইছে টলিউড জুড়ে। অনেকেই বলছেন, যখন একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন ‘বুম্বাদা’র এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন আশার আলো।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0