এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: তিনি বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক। তিনি ‘মাসুদ রানা’ হিসেবে ঢাকাই সিনেমার এক কিংবদন্তি নায়ক। তিনি মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। বার্ধক্যের কারণে এখন আর পর্দায় নিয়মিত না থাকলেও, চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এতটুকুও কমেনি। সম্প্রতি এফডিসিতে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এসে, তিনি তাঁর দীর্ঘ জীবনের নানা উপলব্ধি তুলে ধরেন এবং সহকর্মীসহ সকলের কাছে তাঁর ভুলের জন্য ক্ষমা চান।
গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-তে প্রয়াত চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্মরণে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে বর্ষীয়ান এই অভিনেতা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “কে কখন চলে যাব, শিওর না। তাই এই সুযোগে আমার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন, আমি যদি কারও প্রতি কোনো অন্যায় বা ভুল করে থাকি, আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।”
জীবনের ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, “আমি ভুল করেছি, ভুল অনেক করেছি। তাই সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। যেন মৃত্যুর পর মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নীতি ও আদর্শ নিয়ে দাঁড়াতে পারি।”
সোহেল রানার পারিবারিক নাম মাসুদ পারভেজ। ১৯৭২ সালে, বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনা করে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর ১৯৭৩ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় চরিত্র অবলম্বনে নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় তিনি নায়ক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ‘সোহেল রানা’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পান।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এবং অভিনয়ের জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ ২০১৯ সালে আজীবন সম্মাননাও অর্জন করেছেন। কিংবদন্তি এই নায়কের এমন বিনয়ী বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0