মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

ঋতাভরীর চোখে তাঁর মা

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর, ঋতাভরী তাঁর দিদি চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে মায়ের সঙ্গে দাদু-দিদার বাড়িতে চলে আসেন।

ছবি-সংগৃহীত

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: কলকাতা ও মুম্বাইয়ের পর্দায় সমানতালে কাজ করে চলা জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী, সম্প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এক কঠিন অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর, কীভাবে কেটেছে তাঁর ছোটবেলার দিনগুলো এবং কীভাবে তাঁর মা, পরিচালক শতরূপা সান্যাল, একাই সবটা সামলেছেন— সেই আবেগঘন গল্পই তিনি তুলে ধরেছেন এক অনুষ্ঠানে।

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর, ঋতাভরী তাঁর দিদি চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে মায়ের সঙ্গে দাদু-দিদার বাড়িতে চলে আসেন। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “মাকে হয়তো আমি কখনও হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখিনি। মা লুকিয়ে যেতেন। কিন্তু দুটো ঘরের বাড়ি, কতটা আর লুকিয়ে যাওয়া যায়? যেটা কানে আসার এসেছে, যেটা বুকে ধাক্কা লাগার সেটা লেগেছে।”

এই কঠিন সময়ে, ছোট্ট ঋতাভরী যে কতটা পরিণত এবং দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী ছিলেন, তা তাঁর একটি উত্তরেই স্পষ্ট। তিনি জানান, বাবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর, অনেকেই সহানুভূতি দেখিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করত, “বাবার কথা মনে হচ্ছে না?”

উত্তরে, খেলতে খেলতেই ছোট্ট ঋতাভরী জবাব দিতেন: “শোনো, আমার মায়ের নামও শতরূপা স্যান্যাল, আমার বাবার নামও শতরূপা স্যান্যাল।”

একজন একা মায়ের লড়াই এবং সন্তানের চোখে সেই লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি— ঋতাভরীর এই স্মৃতিচারণ সামাজিক মাধ্যমে অনেকেরই হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, তাঁর আজকের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাঁর মায়ের।

বাংলাফ্লো/এইচএম 

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0