জেলা প্রতিনিধি
মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউনুস সরদার (৪৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে তাঁর বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলার মতো এক ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে তাঁরই স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে, ভুক্তভোগী ইউনুস সরদার সাংবাদিকদের কাছে এই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন এবং জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
ইউনুস সরদার জানান, তিনি কালকিনি উপজেলার চরদৌলত খান গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের শাবনুর আক্তারের (৩০) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় এবং তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত এবং স্ত্রী শাবনুর প্রায়শই ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে যেতেন।
অভিযোগ, গত ২ এপ্রিল শাবনুর আবারও স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। এর ঠিক দুই দিন পর, ৪ এপ্রিল, স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে অতর্কিতভাবে ইউনুসের ওপর হামলা চালান। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁর বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে, হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ইউনুস সরদার বলেন, “ওই ঘটনার পর আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই আমার চাচাতো ভাই তাজিরুল বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলা করেন। তবে ওই সময় আমি অসুস্থ থাকায়, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নাম মামলা থেকে বাদ পড়ে যায়।” তিনি এখন প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্ত্রী শাবনুর আক্তারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, “তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0