এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: ভোটের মুখে আবারও উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণের সুরে বিঁধলেন অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবার আরামবাগে একটি রাজনৈতিক সভায় তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “মার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন না। পালটা মার দিন। পারলে মারবেন।” তাঁর এই সরাসরি সংঘর্ষের ডাক রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের ঝড় তুলেছে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজ্যে নারীদের কোনো সুরক্ষা নেই এবং ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়া নাম ঢুকিয়ে তৃণমূল গণতন্ত্রকে লুট করছে।
বিহারের নির্বাচন কমিশনের তালিকা সংশোধনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বাংলাতেও খতিয়ে দেখা দরকার, কে কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে।” তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি কার্যত রাজ্যে এনআরসি এবং ভোটার যাচাই নিয়ে তাদের পুরোনো আক্রমণাত্মক অবস্থানকেই আবার সামনে নিয়ে এলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মিঠুনের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি অভিনেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি একজন জোকার। বাংলার মাটির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও যোগ করেন, “তৃণমূলের টিকিটে একবার রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন, পরে ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পদ ছেড়ে পালিয়েছেন।”
সব মিলিয়ে, ভোটের মুখে মিঠুন চক্রবর্তীর এই ‘পাঞ্চলাইন’ এবং তৃণমূলের পাল্টা জবাব পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী আবহে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। তারকা প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির এই আক্রমণাত্মক কৌশল রাজ্যের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশকে কতটা প্রভাবিত করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0