এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানের এক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে যখন সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে এক আবেগঘন স্মৃতি শেয়ার করলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী, অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। তিনি হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’-এর একটি মর্মস্পর্শী অংশ তুলে ধরেছেন, যেখানে উঠে এসেছে ক্যানসারের চিকিৎসার সময় তাঁদেরকে ঘিরে হওয়া ভয়াবহ সাইবার বুলিং এবং হুমায়ূন আহমেদের মহানুভবতার কথা।
রবিবার (৫ অক্টোবর) শাওনের শেয়ার করা বইয়ের অংশে, হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, কীভাবে তিনি শাওনকে ফেসবুকের একটি মন্তব্য পড়ে কাঁদতে দেখেছিলেন।
সেই মন্তব্যে এক ব্যক্তি লিখেছিল: “তোমার উচিত শিক্ষা হয়েছে। আমি খুশি যে তোমার স্বামীকে ক্যানসার দিয়ে আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দিলেন। এই শিক্ষা তোমার আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল।”
হুমায়ূন আহমেদ তখন শাওনকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, পৃথিবীর ‘মানসিক অসুস্থ’ মানুষদের কথা না ভেবে, শত শত ভক্তের ভালোবাসার কথা ভাবতে, যাঁরা তাঁর আরোগ্যের জন্য দোয়া করছেন।
একই লেখায়, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নিজের জীবনের এক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছেন। ২৩-২৪ বছরের এক যুবক বহু কষ্টে তাঁর সঙ্গে দেখা করে সরাসরি বলেছিল:
“আপনার লেখা আমার জঘন্য লাগে।”
এবং ইংরেজিতে বলেছিল, “আই ওয়ান্ট ইউ টু ডাই সুন” (আমি চাই আপনি শিগগিরই মারা যান)।”
এর উত্তরে হুমায়ূন আহমেদ শান্তভাবে সেই যুবককে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, “আই হোপ অ্যান্ড প্রে ইউ হ্যাভ আ লং অ্যান্ড মিনিংফুল লাইফ (আমি আশা করি এবং প্রার্থনা করি আপনার জীবন দীর্ঘ এবং অর্থবহ হোক)।”
জবাব? যদিও শাওন সরাসরি গুলতেকিন খানের পোস্টের কোনো জবাব দেননি, তবে ঠিক এই সময়ে, হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তাঁর কঠিন সময়ের লড়াই এবং লেখকের মহানুভবতার এই স্মৃতি শেয়ার করাকে অনেকেই গুলতেকিনের অভিযোগের পরোক্ষ এবং বুদ্ধিদীপ্ত জবাব হিসেবেই দেখছেন।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0