এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: তিনি বাংলাদেশের অভিনয় জগতের এক কিংবদন্তি। তিনি একজন ক্যানসারযোদ্ধা। তিনি সেই ব্যক্তি, যিনি ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চের দিনগুলোতে কোমায় থেকেও জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত। আজ, ৭ সেপ্টেম্বর, এই চিরতরুণ এবং প্রাণবন্ত শিল্পীর ৮১তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে ফিরে দেখা যাক তাঁর সংগ্রাম, ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ এক জীবনের গল্প।
২০২১ সালে আবুল হায়াতের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। সেই ভয়ংকর সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি।” কিন্তু এই কঠিন সময়ে ছায়ার মতো পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী শিরিন হায়াত।
আবুল হায়াত বলেন, “হঠাৎ ওনার (স্ত্রীর) একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন উনি ‘আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরল।” তিনি আরও যোগ করেন, “আজকে আমি এই যে তিনটা বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি,এই সময়টাতে সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা, আমাকে শিখিয়েছে, আই এম আ ফাইটার।”
ক্যানসারের আগেও একবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তিনি কোমায় চলে যান এবং ২৯ মার্চ তাঁর জ্ঞান ফেরে। কোমা থেকে জেগে ওঠার পরই তিনি জানতে পারেন, এর মধ্যেই তাঁর প্রথম সন্তান, বিপাশা হায়াতের জন্ম হয়েছে।
এতসব চড়াই-উতরাই পেরিয়েও, আবুল হায়াত আজও সমানভাবে কর্মঠ। তিনি এখনও মাসের অর্ধেক দিন শুটিং করেন। জীবন নিয়ে তাঁর দর্শন খুব সহজ— “জীবন হলো কাজ করার জায়গা। যে যত কাজ করবে, তার জীবন তত সুন্দর।”
৮১তম জন্মদিনে এই কিংবদন্তি অভিনেতাকে অগণিত শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তার ভক্তরা, তাঁর জীবন সংগ্রাম এবং শিল্পসাধনা নতুন প্রজন্মের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0