তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ

‘মাটির ময়না’ শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের গর্ব হয়ে দাঁড়ায়, কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপরেস্কি পুরস্কার জিতে নেয় এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়।

ছবি-বাংলাফ্লো

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: আজ ১৩ আগস্ট, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম জগতের জন্য এক শোকাবহ দিন। ১৪ বছর আগে, ২০১১ সালের এই দিনে মানিকগঞ্জের জোকা এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দেশ হারিয়েছিল তার দুই কৃতি সন্তান— প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং বরেণ্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরকে। ‘কাগজের ফুল’ সিনেমার লোকেশন দেখে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা তাঁদেরসহ মোট পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নেয়।

প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’, ‘মুক্তির গান’, ‘মুক্তির কথা’ এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’, ‘অন্তরযাত্রা’, ‘রানওয়ে’কাজের মাধ্যমে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলো তারেক মাসুদ। ‘মাটির ময়না’ শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের গর্ব হয়ে দাঁড়ায়, কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপরেস্কি পুরস্কার জিতে নেয় এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়।

১৯৮৯ সালে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে ‘আদম সুরত’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১৯৯৫ সালে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ‘মুক্তির কথা’ (১৯৯৬) প্রশংসিত হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

১৯৫৯ সালে নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক মুনীর,পারিবারিক নাম আশফাক হলেও সবার কাছে মিশুক মুনীর নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি ।কর্মজীবনে দীর্ঘদিন দেশের বেসরকারি টেলিভিশন সাংবাদিকতা করেছেন,তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিওগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে সরকার।

এই দুই কিংবদন্তিকে স্মরণ করতে চিত্রগ্রাহকদের সংগঠন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আজ, বুধবার, বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের গ্রাউন্ড জিরোতে ‘চলচ্চিত্র পথ’ শিরোনামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আয়োজনটিতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করবেন নির্মাতা প্রসূন রহমান, নাহিদ মাসুদ ও আসিফ মুনীর (মিশুক মুনীরের ভাই)। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

বাংলাফ্লো/এইচএম