এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: ঠিক ১০ বছর আগে আজকের দিনেই (১৭ জুলাই, ২০১৫) মুক্তি পেয়েছিল সালমান খান অভিনীত এবং কবির খান পরিচালিত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। এই সিনেমার দশম বর্ষপূর্তিতে, ছবির প্রাণভোমরা ‘মুন্নি’, অর্থাৎ অভিনেত্রী হারশালি মালহোত্রা (যার বয়স এখন ১৬) এক আবেগঘন খোলা চিঠিতে সেই সময়ের নানা না বলা কথা এবং স্মৃতিচারণ করেছেন।
শ্যুটিং সেটের ভয় আর ভালোবাসা: পর্দায় তাঁর নীরবতাই দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাত্র ছয় বছর বয়সে সেই অভিনয়ের পেছনের অভিজ্ঞতা সবসময় সুখকর ছিল না। হারশালি জানিয়েছেন, তিনি সিনেমার মারামারির দৃশ্যগুলো দেখে ভয় পেতেন। তিনি লিখেছেন, “মারামারির দৃশ্যগুলো আমাকে উদ্বিগ্ন করত, আমি কান ধরে রাখতাম, যেন শুনতে না পাই। কখনো চেয়ারের পেছনে লুকাতাম, কখনো কান্না করতাম। কারণ, আমি কিছুই বুঝতে পারতাম না, কী হচ্ছে।”
তবে এই ভয়ের পাশেই ছিল অফুরন্ত ভালোবাসা। হারশালি বলেন, “পুরো শুটিংয়ে আমি নিরাপদ ছিলাম। সবার ভালোবাসা পেয়েছি।”
সালমান এবং ইউনিটের আদর: ‘বজরঙ্গি’র সঙ্গে ‘মুন্নি’র যে রসায়ন পর্দায় দেখা গিয়েছিল, তার পেছনের কারণ ছিল সালমান খানের আন্তরিকতা। হারশালি তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “সালমান স্যার আমাকে সবচেয়ে বেশি আদর করেছেন। তাঁর কাছেই আমি বেশি উষ্ণ আদর পেয়েছি।” তিনি আরও জানান, পরিচালক কবির খান প্রতিটি দৃশ্যকে গল্পের মতো করে বলতেন বলে তাঁর কখনও অভিনয় বলে মনে হয়নি এবং ইউনিটের সবাই তাঁকে নিজের কাছের মানুষ হিসেবেই দেখতেন।
‘মুন্নি’ এবং সিনেমার আবেদন: হারশালি মনে করেন, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ শুধু একটি গল্পের চেয়েও অনেক বেশি কিছু, এটি একটি অনুভূতি। তিনি বলেন, “ছয় বছর বয়সে আমি অনেক কিছুই বুঝতাম না। তবে মুন্নি চরিত্রটিকে চিনতে পেরেছিলাম। আমি তাকে বুঝতে পেরেছিলাম।”
দশ বছর পরেও ভক্তদের কাছ থেকে পাওয়া মেসেজগুলোই প্রমাণ করে, তাঁর অভিনীত ‘মুন্নি’ চরিত্রটি কতটা গভীরভাবে দর্শকদের হৃদয়কে নাড়া দিতে পেরেছিল। ভক্তদের এই ভালোবাসা এবং ইউনিটের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “এসবই প্রিয় মুন্নির প্রতি, যে আমার মধ্যে সব সময় জীবন্ত থাকবে।”
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0