বাংলাফ্লো লাইফস্টাইল
ঢাকা: গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া থাকে প্রচণ্ড রকম গরম ও আর্দ্র। এই সময় ঘরকে যদি কিছুটা ঠান্ডা, হালকা ও আরামদায়কভাবে সাজানো যায়, তাহলে ঘরে বসেই প্রশান্তি খোঁজা সম্ভব। ঘর সাজানোর জন্য বড় কোনও বাজেট বা ঝামেলার প্রয়োজন নেই, কিছু সাধারণ পরিবর্তনই এনে দিতে পারে স্বস্তি। চলুন জেনে নিই গরমে ঘর সাজানোর কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায়:
১। গ্রীষ্মের জন্য সাদা, অফ হোয়াইট, প্যাস্টেল নীল, মিন্ট গ্রিন কিংবা হালকা গোলাপি রঙের পর্দা বা চাদর বেছে নিন। এগুলো ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে এবং চোখেও শান্তির অনুভূতি দেয়। ভারী কাপড়ের পরিবর্তে কটন বা লিনেন জাতীয় হালকা কাপড় ব্যবহার করুন।
২। ঘরে যদি খুব বেশি আসবাবপত্র থাকে, তবে বাতাস চলতে পারে না। কিছু অপ্রয়োজনীয় বা ভারী আসবাবপত্র সরিয়ে ঘর হালকা করুন। বাঁশ বা কেইনের তৈরি হালকা ফার্নিচার
ব্যাবহার করলে শরীরে তাপ জমে না এবং ঘরটাও খোলামেলা লাগে।
৩।গরমে ঘরের ভেতর কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলে শুধু সৌন্দর্যই বাড়ে না, বরং বাতাসও ঠান্ডা ও বিশুদ্ধ হয়। মানিপ্লান্ট, স্পাইডার প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট বা পিস লিলি ইত্যাদি ইনডোর গাছ সহজেই রক্ষা করা যায় এবং এগুলো বাতাস শোধনেও সহায়ক।
৪। ঘরে একঘেয়েমি গন্ধ দূর করতে লেমন গ্রাস, মিন্ট, ল্যাভেন্ডার অথবা রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারো। একটি ডিফিউজারে অল্প পরিমাণ অয়েল দিয়ে ঘরে সুন্দর সুগন্ধ ছড়াতে পারো। এটি মনকে ঠান্ডা রাখতেও সহায়তা করে
৫। দুপুরের সময় সরাসরি সূর্যের আলো যেন ঘরে না ঢোকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। জানালায় ব্ল্যাকআউট পর্দা ব্যবহার করলে ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা কম রাখা যায়। তবে সন্ধ্যার পর জানালা খুলে দেওয়া ভালো, যাতে বাইরের ঠান্ডা হাওয়া ঘরে ঢুকতে পারে।
৬। ঘরে কার্পেট ব্যবহার করতে চাইলে হালকা রঙের এবং পাতলা কাপড়ের কার্পেট বেছে নিন। ভারী ও মোটা কার্পেট গরম ধরে রাখে, যা গ্রীষ্মকালে বিরক্তির কারণ হতে পারে।
৭। গরমকালে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক উপাদানে সাজানো যেতে পারে। বাঁশ, কাঠ, মাটি বা কেরামিক জাতীয় সামগ্রী যেমন ফুলদানি বা শোপিস ঘরের পরিবেশকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।
গরমকালে ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ নয়। বরং একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ঘরকে রূপান্তরিত করা যায় এক প্রশান্তির ঠিকানায়।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0