লাইফস্টাইল ডেস্ক
ঢাকা: যখন কেউ জিজ্ঞেস করে,
কি খেতে ভালোবাসিস?
আমি বলি ভাত!
জন্মানোর ৬ মাস পর ভাত ,
স্কুলে পৌছাবার আগে ভাত,
শহর ছেড়ে চলে যাবার আগে ভাত,
প্রেমিকার সাথে অভিমানের পর ভাত,
বসের কাছে ঝাড় খাওয়ার আগে ভাত,
মায়ের কথা মনে এলেই ভাত,
এই পৃথিবীর এক ভাগ স্থল আর তিন ভাগ ভাত,
অন্তত বাঙালির চোখে তো তাই!
বাঙ্গালী মানেই ভাতখোর। ভাত বাঙ্গালীর প্রান, বাঙ্গালীর দুর্বলতা। তবে আজকাল সাস্থ্য সচেতন সমাজ অলিখিতভাবেই ভাত বর্জন করে বসে আছে। পুঁজিবাদীরা বাঙ্গালীর মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে যে- ভাত খেলেই ডায়বেটিস, স্থূলতা, রক্তচাপ সহ কঠিন সব অসুখ হবে। অথচ এই মিথ ভিত্তিহটিই বলা চলে।
গোগ্রাসে ভাত খেলে যে অসুখ হবে এই কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে পরিমিত পরিমান ভাত খাওয়া সাস্থ্যের জন্য বেশ ভাল। কারন ভাতেও আছে নানা পুষ্টিগুণ।
প্রতি ১০০ গ্রাম ভাতে আছে -
১৩০ কিলোক্যালরি (৫৪০ কিলোজুল) শক্তি
২৮.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
০.০৫ গ্রাম চিনি
০.৪ গ্রাম ফাইবার
২.৬৯ গ্রাম প্রোটিন
সেই সাথে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ।
তবে ফিটনেস ধরে রাখতে চাইলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
বর্তমানে বাজারে যে সরু, পলিশ করা মিনিকেট চাল পাওয়া যায় তাতে ফাইবার ও খনিজ পদার্থ একদমই কম আর কার্বোহাইড্রেট এবং চিনির পরিমান থাকে বেশি। এই চালের ভাত দীর্ঘ দিন খেলে অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। তাই স্বাভাবিক মধ্যম মানের চাল খাওয়া ভাল। সবচেয়ে ভাল হয় মোটা লালচে চালের ভাত যাকে ইংরেজিতে বলে `ব্রাওন রাইস`। তবে বর্তমানে এক ধরণের কালো চাল (ব্ল্যাক রাইস) ফিটনেস সচেতনদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যা উচ্চ পুষ্টি ও ফাইবার সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরি, কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত। সুপার শপ,মিনা বাজার এবং কিছু অনলাইন শপেও পাওয়া যাচ্ছে এই চাল।
আপনি যদি ফিটনেস সচেতন হন আর ভাত যদি হয় আপানর দুর্বলতা, তাহলে মোটা লাল ভাতের পাশাপাশি একবার খেয়ে দেখতেই পারেন এই কালো ভাত।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0