বগুড়া প্রতিনিধি: জেলার আদমদীঘিতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এদের মধ্যে শাহাদৎ হোসেন কলম (৩০) নামে এক যুবক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯টা পর্যন্ত তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বটতলায় আব্দুল্লাহ আল ইমরানের বিকাশ এজেন্টের দোকান রয়েছে। রাত আটটার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাইসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র তিন যুবক তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় তার চিৎকারে জনগণ এগিয়ে এসে বাঁধন নামে একজনকে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে তিনি আহত হলে পুলিশ তাকে আটক করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সময় অপর দুই যুবক মোটরসাইকেলে পাশের বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি মোবাইল ফোনে আশপাশের লোকজনকে জানান। রাত সাড়ে আটটার দিকে আদমদীঘির আমইল গ্রামের লোকজন বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে রাজু পালোয়ান ও কলমকে আটক করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে রাজুর পায়ের রগ কেটে দেয়। খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাকু, ১৯ হাজার টাকা, বিকাশের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল সেট, ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করে। এরপর তাদের আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদৎ হোসেন কলম বাথরুমে যাওয়ার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যান। তিনি হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক হোসেন জানান, আহত রাজু পালোয়ান ও কলম বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারা দুজন বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুলের প্রহরায় ছিলেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আক্কেলপুর থানায় ছিনতাইয়ের শিকার বিকাশ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল ইমরান বাদী হয়ে রাজু পালোয়ান, শাহাদৎ হোসেন কলম ও বাঁধনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। জেবি