এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: ‘টাইটানিক’ সিনেমার পর্দায় তাঁদের বিয়োগান্তক প্রেমের গল্প কোটি কোটি দর্শককে কাঁদিয়েছিল। কিন্তু পর্দার সেই ‘জ্যাক’ ও ‘রোজ’, অর্থাৎ লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট, বাস্তব জীবনে গড়ে তুলেছেন এক গভীর এবং অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্ক, যা প্রায় তিন দশক ধরে হলিউডের এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি ‘টাইটানিক:হৃদয়ের গল্প’ নামের একটি তথ্যচিত্রে কেট উইন্সলেট তাঁদের এই বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে অনেক অজানা কথা বলেছেন।
যে বন্ধুত্ব সময়কে ছাপিয়ে যায়:
১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’-এর সেটে প্রথম দেখা হওয়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে যে বন্ধুত্বের শুরু, তা আজও অমলিন। কেট উইন্সলেট জানান, তাঁরা নিয়মিতই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তিনি বলেন, “ওর ফোন এলে আমি কখনও তা পরের দিনের জন্য রাখি না। আমাদের মাঝে যেটা আছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।” কেটের মতে, “যে বন্ধন সময়কে ছাপিয়ে যায়, সেই সম্পর্কই প্রকৃত বন্ধুত্ব।”
বিয়ের আসরে বাবার ভূমিকায় লিওনার্দো:
তাঁদের বন্ধুত্ব কতটা গভীর, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল ২০১২ সালে। যখন কেট উইন্সলেট তাঁর বর্তমান স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাবেল স্মিথকে বিয়ে করেন, তখন কনের বাবার পরিবর্তে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওই কেটের হাত ধরে তাঁকে বিয়ের মঞ্চে নিয়ে গিয়েছিলেন। অত্যন্ত ব্যক্তিগত সেই অনুষ্ঠানে লিওনার্দোর এই উপস্থিতি তাঁদের সম্পর্কের গভীরতাকে সবার সামনে তুলে ধরে।
দুঃসময়ে একে অপরের পাশে:
শুধু সুখের সময়ই নয়, দুঃখ এবং মানবিক কাজেও তাঁরা একে অপরের পাশে থেকেছেন। ২০১৭ সালে কেটের মা যখন ক্যানসারে মারা যান, তখন কেট ও লিওনার্দো মিলে এক বিশেষ চ্যারিটির আয়োজন করেন। তাঁরা এক ভক্তের সঙ্গে ‘ ডিনার উইথ জ্যাক এন্ড রোজ’-এর মতো একটি ব্যক্তিগত ডিনারের সুযোগ নিলামে তোলেন, যা থেকে প্রাপ্ত ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার লিওনার্দোর পরিবেশবাদী তহবিল এবং জেমা নাটল নামের একজন ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দান করা হয়। দুঃখজনকভাবে, জেমা পরে মারা গেলে, কেট তাঁর শেষকৃত্যেও অংশ নেন।
২০০৮ সালে ‘রেভল্যুশনারি রোড’ সিনেমায় তাঁরা আবারও একসঙ্গে কাজ করেন। বর্তমানে লিওনার্দো একজন অস্কারজয়ী অভিনেতা ও পরিবেশকর্মী এবং কেটও একজন অস্কারজয়ী সফল অভিনেত্রী। পর্দার প্রেম বাস্তবে এক নিখুঁত বন্ধুত্বে পরিণত হওয়ার এই গল্প আজকের যুগে এক অনন্য উদাহরণ।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0