লাইফস্টাইল ডেস্ক
ঢাকা: চন্দনগাছের সুগন্ধি কাঠ যুগ যুগ ধরে সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক যুগেও চন্দনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ খুব কম। আগে যেখানে চন্দনের গুঁড়ো তৈরি করতে সময় লাগত, এখন সেই কষ্ট অনেকটাই কমেছে। বাজারে সহজলভ্য চন্দনগুঁড়া দিয়ে ঘরেই রূপচর্চা সম্ভব।
বিশেষ করে গরমকালে ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই প্রাকৃতিক উপাদান অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ব্যবহারে চন্দনগুঁড়ো শুধু ত্বক উজ্জ্বলই করে না, বরং ব্রণ, রোদে পোড়া, বলিরেখা-সহ নানা সমস্যার সমাধান দিতে পারে। চলুন, জেনে নিই চন্দনের গুঁড়ার ৫টি প্রধান উপকারিতা।
ব্রণ ও লালচে ভাব দূর করে
চন্দনে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ও প্রদাহনাশক উপাদান।যা ত্বকের লালচে ভাব কমায় এবং ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণেও এটি কার্যকর।
ত্বকে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য আনে
চন্দন ত্বকের রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ও মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে নিস্তেজ ত্বক ফিরে পায় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
রোদে পোড়া ও জ্বালা প্রশমনে সহায়ক
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর এক তথ্যে বলা হয়েছে, চন্দনে রয়েছে ত্বক ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা, যা রোদে পোড়া, ফুসকুড়ি বা চুলকে যাওয়া ত্বকে আরাম দিতে পারে।
অকাল বার্ধক্যের ছাপ কমায়
চন্দনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ত্বকের বলিরেখা ও দাগ দূর করে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে করে তোলে আরও নমনীয় ও প্রাণবন্ত।
তৈলাক্ত ভাব কমায়
চন্দনগুঁড়া ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রেখেও অতিরিক্ত তেল ও সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় তেলমুক্ত ও সতেজ।
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
এক চামচ চন্দনগুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল, দুধ বা মধু মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন ১০–১৫ মিনিট, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২–৩ বার এই ফেসপ্যাক ব্যবহারে ভাল ফলাফল চোখে পরবে। চন্দনের গন্ধ যেমন প্রশান্তি আনে, তার গুণও তেমনি ত্বকে আনে প্রশান্ত সৌন্দর্য। কেমিক্যাল এর পরিবর্তে এবার ভরসা রাখুন এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক উপাদানে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0