স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ১৮ বছরের পথচলায় সবশেষ আসরে প্রথমবার আইপিএলের শিরোপা জেতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এমন অর্জনে বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতেন দলটির সমর্থকরা। তবে সেটি একপর্যায়ে রূপ নেয় কান্নায়। গত ৪ জুন আইপিএলে প্রথম শিরোপা জয় উদযাপনে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলায় পদদলিত হয়ে ১১ জন মারা যান। আহত হন ৭৫ জন।
সেই ঘটনার ৩ মাস পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি। সর্বশেষ আইপিএল ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতে বেঙ্গালুরু। পরের দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরা শিরোপা জয় উদযাপনের জন্য সমবেত হন। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এসব করে স্থানীয় পুলিশের অনুমতি না নিয়ে।
সেদিন বেঙ্গালুরু শহরের বিধান সৌধ থেকে ‘ভিক্টরি প্যারেড’ করতে করতেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছান কোহলি, ক্রুনাল পান্ডিয়া, রজত পাতিদার, ফিল সল্টরা। সেদিন সকালেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজগুলোতে কোহলিকে দিয়ে প্রচার চালায়। ভিডিও পোস্টে কোহলি ভক্ত-সমর্থকদের শিরোপা-উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
এ অবস্থায় স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি মানুষ সেখানে আসেন। এই দুর্ঘটনায় ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই দায়ী করেছিল ভারতের কর্ণাটক রাজ্য সরকার। এত কিছু হয়ে গেলেও কোহলি কিছুই বলেননি। তবে অবশেষে নীরবতা ভেঙেছেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বার্তায় কোহলি বলেছেন, ‘জীবনে কোনো কিছুই ৪ জুনের মতো হৃদয়বিদারক ঘটনার মুখোমুখি হতে আমাদের প্রস্তুত করতে পারে না। যে মুহূর্তটা আমাদের দলের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের হওয়ার কথা ছিল, সেটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের পরিবার এবং আহত ভক্তদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি। আপনাদের এই অপূরণীয় ক্ষতি এখন আমাদের গল্পের অংশ।’
বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পতিদারও ভক্তদের উদ্দেশে আবেগপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, ‘প্রতিবার যখন আমি বেঙ্গালুরুর জন্য মাঠে নামি, প্রতিবার আবেগ থেকেই মাঠে নামি। আর সেই আবেগ আপনাদের কাছ থেকে আসে, আপনাদের ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং অকুণ্ঠ সমর্থন থেকে। আপনারা সব সময় আমাদের পাশে ছিলেন। আমি মন থেকে আপনাদের জানাতে চাই, আমরাও আপনাদের পাশে আছি। আপনারা সবাই আমার চিন্তা ও প্রার্থনায় আছেন।’
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর সম্প্রতি বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেজন্য তারা ছয়টি পয়েন্টের একটি বিশদ পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি দলটি নিহত ভক্তদের স্মরণে শহরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কথাও জানিয়েছে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0