বাংলাফ্লো প্রতিনিধি.
ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা ভারত নিশ্চয়ই ঠিক করবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আমরা ডিসাইড করবো না, একইভাবে আমরা চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা ভারত নিশ্চয়ই ডিসাইড করবে না।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা এক সময় ভারতের মনোভাবের ওপর নির্ভর ছিল। এখন কি সেটা কাজ করে?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আমরা ডিসাইড করবো না, একইভাবে আমরা চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা ভারত নিশ্চয়ই ডিসাইড করবে না।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে কী কী আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ইস্যু আছে, স্বার্থের প্রশ্ন আছে, ব্যবসা বাণিজ্য আছে, তার সব কিছুই টেবিলে থাকবে। কোনটা কতটুকু এগুতে পারবো, সেটা আপনারা জানতে পারবেন, মিটিং শেষ হবে, তারপর।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। এটা আউট অব দ্যা ওয়ে বড় কোনো কিছু না, আবার ডেলিবারেটলি (ইচ্ছাকৃতভাবে) তাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক ভালো রাখবো না, এরকম একটা সিদ্ধান্ত আগে ছিল, সেটা থেকেও বের হয়ে আসতে চাই। অন্যান্য আরও ১০টা দেশের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সেটা চাই। তেমনই আমরা চেষ্টা করছি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ক্ষমা ও দেনা-পাওনার বিষয়টি থাকবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি ইস্যুই টেবিলে থাকবে, তবে যেটা ৫০ বছরে পারা যায়নি, সেটা যে আমরা চট করে পারবো, এমন কোনো কথা নেই। আমরা এটা প্রাগমেটিক ওয়েতে এগিয়ে যাবো। একটা ইস্যু যেন আরেকটা ইস্যুতে আটকে না থাকে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৩ আগস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ২০১২ সালের পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর হতে চলেছে।
ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছি তাকে ফেরত দেয়া হোক, যেন বিচারের মুখোমুখি করা যায়। ভারত থেকে কোনো পজিটিভ রেসপন্স আসেনি। আমরা অপেক্ষা করছি। তবে কেউ আসুক বা না আসুক, কোনো বিচার তো আটকে থাকে না।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক কোনো সহযোগিতা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, যদি কখনো সরকার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে তখন নেওয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন দেখছি না।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0