জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রাপ্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবিতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট করেছেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ‘সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের’ ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। ফলে ওই সময়ের মধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের অভাব, শয্যা ও সরঞ্জামের সীমিততার কারণে রোগীদের চরম ভোগান্তি কমানোর দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই কর্মসূচিতে হাতিয়া স্টুডেন্ট ফোরাম, ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, হাতিয়া সমিতি-নোয়াখালী, হাতিয়া ফোরাম-বৃহত্তর নোয়াখালীসহ বিভিন্ন সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে।
এ সময় বক্তব্যে শাহ মিজানুল হক মামুন বলেন, “হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সাত লাখের বেশি বাসিন্দা যুগ যুগ ধরে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দেশের সবকিছুর পরিবর্তন হলেও হাতিয়া দ্বীপবাসীর ভাগ্যের কোনও পরিবর্ত হয়নি। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই। মালি, ঝাড়ুদাররা ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দেয়। কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে কখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।”
নোমান সিদ্দিক বলেন, “আমাদের দ্বীপের মানুষের জীবনের কোনও মূল্য নেই। সাত লাখ মানুষের এই দ্বীপে জরুরি অস্ত্রোপচার কিংবা জটিল কোনও রোগীর চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেই। অনেক সময় গর্ভবতী মায়েরা তাদের ডেলিভারির সময় নোয়াখালী যাওয়ার পথে মারা যেতে হয়। এখানে মাসের অধিকাংশ দিন কোনও চিকিৎসক থাকেন না। চিকিৎসক যারা কর্মরত আছেন, তারাও মাসের অধিকাংশ দিন হাসপাতালে থাকেন না। আমরা এর প্রতিকার চাই।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি বলেন, “হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্টাফ সংকটের বিষয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আজ যারা অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। আমরা তাদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর ব্যবস্থা করছি।”
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0