এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: “একমাত্র শিক্ষাই পারে স্বৈরাচার এবং সনাতন ধর্মের শেকল ভাঙতে”— চেন্নাইয়ের এক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ কমল হাসানের এই একটি মন্তব্যই ভারতজুড়ে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে, এক তীব্র বিতর্কের ঝড় তুলেছে। তাঁর এই বক্তব্যকে ‘সনাতন ধর্মকে অপমান’ হিসেবে উল্লেখ করে, তাঁর সমস্ত সিনেমা বয়কট করার ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
সম্প্রতি চেন্নাইতে অভিনেতা সুরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আগারম ফাউন্ডেশন’-এর ১৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমল হাসান। সেখানেই তিনি বলেন, “এই যুদ্ধে, শুধু শিক্ষারই সামর্থ্য রয়েছে দেশকে বদলানোর। একনায়কতন্ত্র ও সনাতনকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র শিক্ষার। হাতে আর অন্য অস্ত্রের দরকার নেই।”
অনেকেই মনে করছেন, তিনি প্রকৃতপক্ষে সনাতন ধর্মের গোঁড়ামি এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকা কুসংস্কারের বিপক্ষেই বলতে চেয়েছেন।
তবে কমল হাসানের এই মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি। তামিলনাড়ুর বিজেপি সচিব অমরপ্রসাদ রেড্ডি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “আমি সব হিন্দুর কাছে আবেদন করছি, কমল হাসন সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করতে চান। তাঁর সিনেমা বয়কট করুন। এটা যেন একটা বার্তা হিসেবে যায়। সনাতন ধর্মকে অপমান করলেই তার ফল ভুগতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগে এই কাজ করতেন উদয়নিধি স্ট্যালিন (তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী)। এখন কমল হাসান বলছেন। আমি সব হিন্দুকে বলছি, এবার এই লোকগুলোকে শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে।”
এর আগেও কমল হাসান বিভিন্ন সময়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবে এবারের ‘সনাতন ধর্ম’ বিতর্কটি এমন এক সময়ে এলো, যখন তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কমল হাসানের এই বক্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এবং তাঁকে বয়কটের এই ডাক বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0