নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ আগস্টের পর থেকে লুট হওয়া ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গুলি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল হাফিজ জানান, কিছু জেলায় যেসব অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো দ্রুত ধ্বংসের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গুলি এখনও উদ্ধার হয়নি, যা সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যেতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, মোট ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল, যার মধ্যে তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়েছে। ৬ লাখ গুলির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ গুলি উদ্ধার হয়নি, তবে বাকিগুলো পরবর্তী অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারী গোষ্ঠী ও তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তিনি ডিসিদেরকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। আগামী রমজান মাসে তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন, যার মধ্যে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলা এবং সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণের বিষয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, \গণমানুষের তিনটি প্রত্যাশা—নিরাপদ চলাফেরা, শান্তিতে ঘুমানো এবং দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা।\
চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে, এবং প্রয়োজনে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান। সিভিল প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া ও যুবসমাজের জন্য ইউনিভার্সেল মিলিটারি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।