বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সংগঠনের সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি বলেন, নারীর জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল ছিল। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ খসড়া প্রজ্ঞাপনে এই বিধান রোহিত করা হয়েছে। এটা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষাকে অগ্রসর করার জন্য অসঙ্গতিপূর্ণ। এ সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ এ নারী কোটা বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নারীর প্রতি বিদ্বেষ, বিদ্বেষমূলক আচরণ ও ভাষা নারীর স্বাধীন চলাফেরাকে বাধাগ্রস্ত করছে। যেখানে-সেখানে নারীর পোশাক, সাজসজ্জা, চলাফেরা নিয়ে প্রকাশ্যে অপমান করা হচ্ছে। গণপরিসরে নারীকে নানাভাবে শারীরিক ও মৌখিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে সাতটি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো–
১/ নারী বিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করার লক্ষ্যে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
২/ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩/ মব সহিংসতার অবসান ঘটনোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
৪/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
৫/ নারী নির্যাতন ও সহিংসতার বিষয়ে বাস্তব তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
৬/ মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস প্রতিহত করতে হবে ।
৭/ সমতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় নীতিমালাবিরোধী অপতৎপরতা প্রতিহত করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামীর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সম্পাদক সীমা মোসলেম ও মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ।
বাংলাফ্লো/এসকে
Comments 0