Logo

অফিস ফ্যাশন: কেমন হবে নারীর ফরমাল লুক ?

অফিসের জন্য ন্যাচারাল মেকআপ করতে হয়, যাতে দেখতে প্রেজেন্টেবল লাগে এবং আপনি অনেক মেকআপ করেছেন বলেও মনে না হয়।

ছবিঃ সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ঢাকা: ইন্টারভিউ, প্রেজেন্টেশন বা রেগুলার অফিসের জন্য কীভাবে ফরমাল লুক ক্রিয়েট করা যায় তা নিয়ে মেয়েরা সবসময়ই কনফিউসড থাকে। বিশেষ করে যারা শিক্ষা জীবন শেষ করে প্রথম চাকরিতে ঢুকেছেন।তাদের জন্যই আজ লিখবো- যেকোনো ফরমাল লুকের জন্য পারফেক্ট মেকআপ ও আউটফিট কেমন হতে পারে।

ফরমাল লুক যতটুকু সম্ভব সিম্পল ও মিনিমাল রাখতে হয়। কারণ যেহেতু অফিসে আমাদের অনেকটা সময় থাকতে হয়, তাই পোশাক যদি কমফোর্টেবল না হয় আর মেকআপ যদি সিম্পল না হয়, তাহলে সারাদিনের কাজে ফোকাস করতে সমস্যা হয়।

আউটফিট

অফিস বা ইন্টারভিউ যেটিই হোক না কেন, সবসময় এমন ম্যাটেরিয়ালের আউটফিট পরুন যা আরামদায়ক এবং যার ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। হালকা সুতা, জরির কাজ অথবা এমব্রয়ডারি করা কটন, লিলেন বা তাঁতের  কুর্তি, সালোয়ার কামিজ, কটনের শার্ট , পরতে পারেন।  

শাড়ি পরতে চাইলে, তাঁত, সুতি, জর্জেট, ভেজিটেবল ডাই অথবা হালকা কাজ করা জামদানী শাড়িও পরতে পারেন। এক্ষেত্রে শাড়ির আঁচল ভাঁজ করে পরুন। হালকা নীল, ল্যাভেন্ডার, পিচ, গোলাপী, অ্যাশ, অফ হোয়াইটের মতো হালকা রঙগুলোকে প্রাধান্য দিন। কারণ এ রঙগুলোই ফরমাল লুকে সবচেয়ে বেশি মানায়।

মেকআপ

অফিসের জন্য ন্যাচারাল মেকআপ করতে হয়, যাতে করে দেখতে প্রেজেন্টেবল লাগে এবং একইসাথে  আপনি অনেক মেকআপ করেছেন বলেও মনে না হয়। অর্থাৎ “নো-মেকআপ” মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে হবে। এই মেকআপ লুক যেভাবে ক্রিয়েট করবেন।

১) প্রথমেই ফেইস ভালোভাবে ক্লিন করে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।

২) আপনার স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে এমন একটি কনসিলার নিয়ে চোখের নিচে এবং আপনার ফেইসের যে এরিয়াগুলোতে পিগমেন্টেশন অথবা একনে মার্ক রয়েছে, শুধুমাত্র সেসব এরিয়াতে অ্যাপ্লাই করুন এবং একটি ভেজা বিউটি স্পঞ্জ অথবা ব্রাশের সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। ফাউন্ডেশন ইউজ না করে শুধুমাত্র এভাবে কনসিলার অ্যাপ্লাই করলে মেকআপের বেইজ লাইটওয়েইট এবং অনেক লং-লাস্টিং হয়।

৩) একটি কমপ্যাক্ট পাউডারের সাহায্যে ফেইসে কনসিলার সেট করে নিন। তবে খুব বেশি পাউডার অ্যাপ্লাই করবেন না, কারণ এতে ফেইস কেকি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪) নিজের পছন্দের যেকোনো হালকা রঙের ব্লাশ নিন এবং ব্রাশের সাহায্যে দুই গালে অ্যাপ্লাই করুন।

৫) হালকা পিংক, ম্যভ বা ব্রাউন টোনের ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটে অ্যাপ্লাই করুন। ন্যুড বা হালকা লিপস্টিক চুজ করুন

৬) আইব্রো পেন্সিলের সাহায্যে আপনার আইব্রোর শেইপ ডিফাইন করে নিন। এতে করে আপনার পুরো ফেইস অনেক আপলিফটেড মনে হবে। হালকা ব্রাউন কালারের ম্যাট আইশ্যাডো নিয়ে একটি ফ্লাফি ব্লেন্ডিং ব্রাশের সাহায্যে আই লিডে অ্যাপ্লাই করে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন। এতে চোখের শেইপ আরো সুন্দরভাবে বোঝা যাবে। তবে শিমারি বা গ্লিটার আইশ্যাডো ইউজ করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। ফরমাল লুকের সাথে ড্রামাটিক আইলাইনার একেবারেই মানায় না। তাই যদি আইলাইনার দিতে চান, তাহলে যতটুকু সম্ভব চিকন করে দেয়ার চেষ্টা করুন। চোখের পাঁপড়িগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে দুই কোট ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা ইউজ করতে ভুলবেন না। ওয়াটার প্রুফ মাশকারা ব্যবহার করুন ।

জুয়েলারি

অফিসে কখনোই খুব ভারী কোনো জুয়েলারি পরবেন না। ওজনে হালকা ও একদম সিম্পল ডিজাইনের জুয়েলারি সিলেক্ট করুন। ফরমাল লুকের সাথেই পার্ল জুয়েলারি খুব ভালো ম্যাচ করে। আবার মিনিমাল ডিজাইনের গোল্ড, সিলভার অথবা স্টোনের জুয়েলারিও মানিয়ে যায় সহজেই। কানে ছোট্ট একজোড়া টপ বা ইয়ার স্টাড পরতে পারেন। গলায় একটি সিম্পল পেনডেন্ট পরলেও এলিগ্যান্ট লাগবে। সেই সাথে এক হাতে ঘড়ি পরুন এবং যদি ব্রেসলেট পরার অভ্যাস থাকে, তাহলে অন্য হাতে সিম্পল ডিজাইনের একটি ব্রেসলেটও পরতে পারেন।

ইন্টারভিউ, প্রেজেন্টেশন বা অফিস যেটিই থাকুক না কেন, সবসময় কনফিডেন্ট থাকুন। নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে কনফিডেন্সের বিকল্প নেই।

বাংলাফ্লো/আফি

Related Posts বিনোদন

Leave a Comment

Comments 0