এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: \বাবা জানো, আমাদের সেই ময়না পাখিটা না আজ আমার নাম ধরে ডেকেছে\ শিশুশিল্পী হিসেবে প্রার্থনা ফারদিন দিঘীর গ্রামীনফোনের এই বিজ্ঞাপনটা সে সময়েই ভাইরাল হয়েছিলো এবং সবার মুখে মুখে ছিল যার মাধ্যমে রাতারাতি দিঘীকে তারকা খ্যাতি এনে দিয়েছিলো । শিশুশিল্পী হিসেবে প্রার্থনা ফারদিন দীঘি এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমনই এক প্রভাব ফেলেছিলেন বাংলাদেশের দর্শকের মনে যে ২০০০ সালের পর যাদের জন্ম, তাদের কাছে তিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই দীঘি এখন নায়িকা। আর নায়িকা হিসেবে তাঁর এই যাত্রাপথ নিয়েই ভক্তদের মনে জমেছে তীব্র ক্ষোভ এবং আক্ষেপ। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা দীঘির মতো একজন প্রতিভাবান শিল্পীকে অবহেলা করছেন।
সামাজিক মাধ্যমে এক ভক্তের লেখা পোস্টে উঠে এসেছে এই প্রজন্মের দর্শকদের মনের কথা। তিনি লিখেছেন, শাবানা-ববিতা যেমন আগের প্রজন্মের কাছে প্রিয়, তেমনই তাঁদের কাছে প্রিয় ছিলেন শিশুশিল্পী দীঘি। যে সিনেমায় দীঘি অভিনয় করতেন, সেখানে নায়ক-নায়িকার চেয়েও তাঁর উপস্থিতিই বেশি থাকত।
কিন্তু সেই দীঘিই নায়িকা হয়ে ফেরার পর থেকে যেন ভিন্ন এক বাস্তবতার মুখোমুখি। ভক্তদের অভিযোগ, নির্মাতারা তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ না দিয়ে, বরং তাঁর রূপ, সৌন্দর্য নিয়ে সমালোচনাতেই বেশি ব্যস্ত।
ভক্তরা মনে করেন, শিশুশিল্পী হিসেবে যিনি এত সফল, তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। বড়বেলায় তিনি যে কয়েকটি কাজ করেছেন, সেখানেও নিজের সেরাটাই দিয়েছেন।
তাঁদের আবেদন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি যেন পরের প্রজন্মের জন্য শাবানা, ববিতা, শাবনূর বা মৌসুমীর মতো একজন আইকনিক অভিনেত্রী পায়, সেই কথা বিবেচনা করে হলেও দীঘিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো উচিত। একজন সফল শিশুশিল্পীর এমন পরিণতিতে হতাশ হয়ে, অনেকেই এখন দূর থেকে তাঁর মঙ্গল কামনা করছেন এবং নির্মাতাদের প্রতি তাঁর প্রতিভাকে মূল্যায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0