Logo

উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য

ত্বকের কালচে দাগ, ব্রণের দাগ বা রোদের কারণে হওয়া পিগমেন্টেশন দূর করতে দরকার ত্বকের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ঢাকা: উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়? তবে কালচে দাগ, ব্রণের দাগ আর পিগমেন্টেশন আমাদের ত্বকের উজ্জলতা নষ্ট করে। তবে কিছু সহজ যত্নে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ানো সম্ভব। ত্বকের কালচে দাগ, ব্রণের দাগ বা রোদের কারণে হওয়া পিগমেন্টেশন দূর করতে দরকার ত্বকের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা। ত্বকের প্রয়োজন অনুসারে সঠিক উপাদান বেছে নিলে ত্বক হয়ে ওঠে প্রানবন্ত, উজ্জ্বল। চলুন জেনে নেই উজ্জলতার রহস্য। দেখে নেই ত্বকের দাগছোপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করতে কোন কোন উপাদান কি কি কাজ করে-

১. গ্লাইকোলিক অ্যাসিড

২০ বছর বয়সের পর থেকে সাপ্তাহিক স্কিনকেয়ার রুটিনে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড যোগ করতে পারেন। গ্লাইকোলিক অ্যাসিডকে AHA (Alpha Hydroxy Acid) বলা হয়। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ  গঠনে সাহায্য করে। হাইপার পিগমেন্টেশন আর সানবার্ন কমিয়ে স্কিন ইভেন টোনড করতে হেল্প করে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। সেই সাথে দাগছোপ হালকা করে এবং ত্বককে মসৃণ করে।

২. ভিটামিন সি (Ascorbic Acid)

ত্বকের জন্য অন্যতম শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার উপাদান কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় এটি। মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। নিয়মিত ভিটামিন সি সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করলে দাগছোপ দ্রুত হালকা হয়ে যাবে। সকালে সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে ভিটামিন সি সিরাম অ্যাপ্লাই করতে পারেন, এতে ভালো ফলাফল পাবেন।

৩. নিয়াসিনামাইড

ত্বকের দাগছোপ কমাতে খুবই কার্যকর নিয়াসিনামাইড বা ভিটামিন বি৩। এটি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, হাইপারপিগমেন্টেশন কমায় ও ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। এছাড়া এটি ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম সিক্রেশন কমিয়ে আনে, ব্রণ আর ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

৪. কোজিক অ্যাসিড

এটি এক ধরনের ন্যাচারাল স্কিন লাইটেনিং ইনগ্রেডিয়েন্ট, যা ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে হাইপারপিগমেন্টেশন ও ব্রণের দাগ হালকা করে। এটি অনেক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে এখন ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে স্পট ট্রিটমেন্ট হিসেবে।

৫. আলফা আরবুটিন

জেন্টল কিন্তু পাওয়ারফুল ব্রাইটেনিং এজেন্ট হিসেবে । যারা সেনসিটিভ স্কিন নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য আলফা আরবুটিন সবচেয়ে সেইফ। এটি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে দাগছোপ হালকা করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি নিয়াসিনামাইডের সাথে ব্যবহার করা হলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। ধৈর্য সহকারে টানা কয়েক মাস ব্যবহার করলে নিজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে চমকে যাবেন!

এই উপাদানগুলো ব্যাবহারে ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ, উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।এই উপাদানগুলো ত্বককে সূর্যরশ্নির প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে তাই সানস্ক্রিন ব্যাবহার বাধ্যতামূলক।

বাংলাফ্লো/আফি

Related Posts বিনোদন

Leave a Comment

Comments 0