এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: তিনি হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি দেব আনন্দের ছেলে। তাঁর চাচাতো ভাই শেখর কাপুর একজন বিশ্বখ্যাত পরিচালক। কিন্তু এতকিছুর পরেও, সুনীল আনন্দ বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেননি। বাবা দেব আনন্দ ৬৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি শাসন করলেও, তাঁর ছেলে অভিনয়ে এবং পরিচালনায়— কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্যের মুখ দেখেননি।
ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করার পর, সুনীল আনন্দ বাবার পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮৪ সালে, বাবা দেব আনন্দ নিজেই তাঁকে ‘আনন্দ অউর আনন্দ’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেন। কিন্তু ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এরপর ১৯৮৬ সালে ‘কার থিফ’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেও তিনি সাফল্য পাননি।
১৯৮৯ সালে, দেব আনন্দ তাঁর প্রযোজনা সংস্থা নবকেতন ফিল্মসের ব্যানারে ‘ম্যায় তেরে লিয়ে’ সিনেমাটি তৈরি করেন। অভিনেত্রী আশা পারেখ পরে এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন, ছবিটি মূলত দেব আনন্দের ইচ্ছাতেই তৈরি হয়েছিল, যার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ছেলেকে সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
দীর্ঘ বিরতির পর, ২০০১ সালে সুনীল ‘মাস্টার’ নামে একটি মার্শাল আর্টস ছবি পরিচালনা করেন, যার জন্য তিনি হংকং-এ প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ছবিটিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
২০১১ সালে দেব আনন্দের মৃত্যুর পর, সুনীল নবকেতন ফিল্মসের দায়িত্ব নেন। তিনি ‘ভাগাটর মিক্সার’ নামে একটি হলিউড সিনেমার ঘোষণাও করেন, যা ছিল তাঁর বাবার হলিউড স্বপ্নের প্রতি এক শ্রদ্ধাঞ্জলি। কিন্তু সেই ছবিটিও আইনি জটিলতার কারণে মুক্তি পায়নি।
বর্তমানে সুনীল আনন্দ সিনেমার জগৎ থেকে দূরে, এক নিভৃত জীবনযাপন করছেন। কিংবদন্তি বাবার বিশাল খ্যাতির ছায়া থেকে তিনি যেন কখনোই বেরিয়ে আসতে পারেননি, আর দেব আনন্দের হলিউড স্বপ্নও তাঁর হাত ধরে অধরাই রয়ে গেছে।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0