বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সৌদি নারী নির্মাতার ছবিতে তোলপাড়

“আমরা দূরবর্তী অঞ্চল ও শহরে শুটিং করেছি। আমরা বিশ্বাস করেছি এই গল্পটি বলা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন প্রজন্মের সৌদি নারীদের জীবন ও অভিজ্ঞতা ঘিরে রচিত, মানবিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।”

ছবি-সংগৃহীত

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পে এক নতুন ইতিহাস রচিত হলো। দেশটির নারী নির্মাতা শাহাদ আমিন পরিচালিত সিনেমা ‘হিজরাহ’ প্রথমবারের মতো ইতালির সম্মানজনক ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের স্পটলাইট বিভাগে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত একটি দেশ থেকে উঠে আসা একজন নারী নির্মাতার এমন আন্তর্জাতিক সাফল্যকে চলচ্চিত্র জগৎ এক বিরাট পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছে।

চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনি ১২ বছর বয়সী জান্নাকে ঘিরে। সে তার কড়া মেজাজের দাদি এবং বিদ্রোহী বড় বোন সারাহকে নিয়ে হজ করার জন্য মক্কার পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পথেই হঠাৎ করে তার বোন সারাহ নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপরই নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে দাদি সারাহকে খুঁজে বের করার এক কঠিন এবং গোপন অভিযানে নামেন।

এই যাত্রাপথে তাঁরা পাড়ি দেন পুরনো হজ রুট, মুখোমুখি হন প্রতিকূল প্রকৃতি এবং বহুদিনের চাপা পড়ে থাকা পারিবারিক গোপন সত্যের। এই সফরটি ধীরে ধীরে শুধু একটি শারীরিক ভ্রমণই থাকে না, হয়ে ওঠে ক্ষমা, বোঝাপড়া আর আত্মার মুক্তির এক আধ্যাত্মিক যাত্রা।

পরিচালক শাহাদ আমিন বলেন, “আমরা দূরবর্তী অঞ্চল ও শহরে শুটিং করেছি। আমরা বিশ্বাস করেছি এই গল্পটি বলা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন প্রজন্মের সৌদি নারীদের জীবন ও অভিজ্ঞতা ঘিরে রচিত, মানবিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।”

এর আগে শাহাদ আমিনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘স্কেলস’-ও ভেনিসে প্রিমিয়ার হয়েছিল এবং সেটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১৫টিরও বেশি পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি সৌদি আরবের পক্ষ থেকে অস্কারেও জমা দেওয়া হয়েছিল।

সব মিলিয়ে, ‘হিজরাহ’-এর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে, সৌদি আরবের নির্মাতারা, বিশেষ করে নারী নির্মাতারা, এখন বিশ্বের দরবারে নিজেদের শক্তিশালী গল্প বলার জন্য প্রস্তুত।

বাংলাফ্লো/এইচএম  

 

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0