এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: স্কুল-কলেজে ‘ব্যাকবেঞ্চার’ বা পেছনের বেঞ্চের ছাত্রদের নিয়ে যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত আছে, তা ভাঙতে এক অভিনব এবং নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে ভারতের কেরালা রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে। আর এই অসাধারণ পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে একটি মালয়ালম সিনেমা। পরিচালক বিনেশ বিশ্বনাথনের প্রথম সিনেমা ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষকরা তাঁদের শ্রেণীকক্ষের চিরাচরিত আসন বিন্যাসই বদলে ফেলেছেন।
যেভাবে এলো পরিবর্তন: ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’ সিনেমাটির গল্প চারজন দুষ্টু প্রকৃতির এবং পড়াশোনায় অনাগ্রহী শিক্ষার্থীকে নিয়ে। ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যটি কেরালার অনেক শিক্ষকের মনে গভীর ছাপ ফেলে। এরপরই তাঁরা ক্লাসের বেঞ্চগুলোকে অর্ধবৃত্তাকারে বা ইংরেজি ‘U’ আকারে সাজিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে, কোনো শিক্ষার্থীই আর পেছনের সারিতে থাকে না, সবাই শিক্ষকের সমান মনোযোগ পায় এবং ক্লাসের আলোচনায় সমানভাবে অংশ নিতে পারে।
কেরালার ভালাকম, কন্নুর, ত্রিশুর, পালাক্কড়ের মতো বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুলগুলো ইতোমধ্যে এই পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, এই নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ, শ্রবণ এবং আলোচনার দক্ষতা আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে।
প্রথম ছবিতেই পরিচালকের স্বপ্নপূরণ: প্রত্যেক নির্মাতাই চান, তাঁর সিনেমা শুধু বিনোদন না দিয়ে, সমাজকে নতুন করে ভাবতে শেখাক। আর নিজের প্রথম সিনেমাতেই সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন পরিচালক বিনেশ বিশ্বনাথন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি এই পরিবর্তিত ক্লাসরুমের ছবি শেয়ার করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। প্রথম ছবিতেই বক্স অফিসের সাফল্যের চেয়েও বড় এমন এক সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায়, চলচ্চিত্র জগতে প্রশংসায় ভাসছেন এই নবীন নির্মাতা।
এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করলো, সিনেমা যে শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনেরও এক শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0