Logo

স্মরণে ফিরোজা বেগম: এক কিংবদন্তির ৯৫তম জন্মজয়ন্তী

১৯৫৫ সালে তিনি প্রখ্যাত সুরকার ও গায়ক কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে হামীন আহমেদ এবং শাফীন আহমেদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘মাইলস’-এর সদস্য।

ছবি-বাংলাফ্লো

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: তাঁকে বলা হয় নজরুলসংগীতের সম্রাজ্ঞী। যাঁর জাদুকরী কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের গান পৌঁছে গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে, সেই কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগমের আজ ৯৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আজ বেঁচে না থাকলেও, তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে অমর হয়ে আছেন বাংলা সংগীতের ইতিহাসে।

ফিরোজা বেগমের সংগীত জীবনের সবচেয়ে বড় অধ্যায়টি ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সাক্ষাৎ এবং শিষ্যত্ব গ্রহণ। মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি কবির সান্নিধ্যে আসেন এবং তাঁর কাছেই সংগীতের তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে নজরুলের গান নিয়ে তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয়। পরবর্তীতে কবি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন ফিরোজা বেগমই নজরুলসংগীতের শুদ্ধ স্বরলিপি এবং সুরকে বিকৃতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সংরক্ষণের মতো এক বিরাট দায়িত্ব পালন করেন।

মাত্র ১২ বছর বয়সেই, ১৯৪২ সালে, বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয়। দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং সংগীত জগতে তাঁর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। নজরুলসংগীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজনসহ বিভিন্ন ধারার গানে পারদর্শী ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৮০টিরও বেশি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

১৯৫৫ সালে তিনি প্রখ্যাত সুরকার ও গায়ক কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে হামীন আহমেদ এবং শাফীন আহমেদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘মাইলস’-এর সদস্য। শিল্পচর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৭৯ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করে।

২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এই কিংবদন্তি শিল্পী কিডনি জটিলতায় ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর জন্মদিনে অগণিত ভক্ত ও সংগীতপ্রেমীরা তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন।

বাংলাফ্লো/এইচএম 

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0