এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে শিল্পের মাধ্যমে সম্প্রীতির এক অবিশ্বাস্য নজির স্থাপন করল করাচির থিয়েটার গ্রুপ ‘মউজ’। হিন্দু ধর্মীয় মহাকাব্য ‘রামায়ণ’-এর সফল মঞ্চায়ন করে এই নাট্যদলটি শুধু পাকিস্তান নয়, বরং পুরো উপমহাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এই সাহসী এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে কুড়িয়েছে ব্যাপক প্রশংসা।
পরিচালকের সাহসী বার্তা: এই নাটকের মাধ্যমে পরিচালক ইয়োহেশ্বর কারেরা বিশ্বজুড়ে পাকিস্তান সম্পর্কে প্রচলিত একটি নেতিবাচক ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “বাইরে পাকিস্তানকে অসহনশীল দেশ হিসেবে দেখানো হয়। আমার এটাই দেখানোর ছিল যে, পাকিস্তান অনেক বেশি সহনশীল একটি রাষ্ট্র।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার কখনোই মনে হয়নি যে, এখানে রামায়ণ করলে লোকে তা পছন্দ করবে না বা আমাকে হুমকি দেওয়া হবে।” তাঁর এই আত্মবিশ্বাসী এবং স্পষ্ট অবস্থানই এই প্রযোজনাটির মূল শক্তি।
শৈল্পিক উপস্থাপনা ও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া: জানা গেছে, নাটকে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, রাবণসহ অন্যান্য পৌরাণিক চরিত্রগুলিকে অত্যন্ত যত্ন সহকারে এবং গভীর অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিল্পীদের অভিনয়, মঞ্চসজ্জা এবং পরিচালনা—সবকিছু মিলিয়ে এই প্রযোজনাটি পাকিস্তানের থিয়েটার জগতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নাটকের বিভিন্ন দৃশ্য এবং ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হচ্ছে, যা দুই দেশের দর্শকদের মধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে।
সম্প্রীতিই মূল উদ্দেশ্য: নাট্যদলের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য শুধু শিল্পচর্চা নয়, বরং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান গড়ে তোলা। ধর্মীয় মহাকাব্যের এমন শৈল্পিক এবং সম্মানজনক উপস্থাপন প্রমাণ করে, শিল্পের কাছে কোনো কাঁটাতার বা ধর্মীয় বিভেদ বাধা হতে পারে না। এই মঞ্চায়নটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0