বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫

রূপপুরে পারমাণবিক জ্বালানি লোডের প্রস্তুতি চূড়ান্ত ধাপে

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে প্রথম ইউনিটে জ্বালানি লোড করা হবে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ শুরু হতে পারে ‘স্টার্ট আপ’ প্রক্রিয়া, অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সূচনা।

ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

পাবনা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট-১-এ পারমাণবিক জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে প্রথম ইউনিটে জ্বালানি লোড করা হবে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ শুরু হতে পারে ‘স্টার্ট আপ’ প্রক্রিয়া, অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সূচনা।

ইউনিট-১-এ জ্বালানি লোডিংয়ের আগে নিরাপত্তা পর্যালোচনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর প্রি-ওসার্ট (পারমাণবিক প্রকল্পের উৎপাদন শুরুর আগের পর্যবেক্ষণ) দল কার্যক্রম শুরু করেছে।

১৫ সদস্যের এ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইএইএর সিনিয়র নিউক্লিয়ার সেফটি অফিসার সাইমন ফিলিপ মরগান, আর ডেপুটি টিম লিডার হিসেবে আছেন অপারেশনাল সেফটি সেকশন হেড জুরাজ রোভনি। প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রি-ওসার্ট টিম নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা, পরিচালনা প্রস্তুতি, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রযুক্তিগত বিষয়, পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও প্রতিক্রিয়া, বিকিরণ সুরক্ষা, রসায়ন, জরুরি প্রস্তুতি, দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং কমিশনিং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে।

নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাসান জানান, রোববার সকালে আইএইএ টিম প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে কাজ শুরু করেছে এবং এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। প্রি-ওসার্ট মিশনের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করেই পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) লোডিংয়ের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ হলে রাশিয়া থেকে আনা ১৬৩টি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি রিঅ্যাক্টর কোরে স্থাপন করা হবে, যা ‘জ্বালানি লোডিং’ নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমের জন্য আইএইএ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১-এ জ্বালানি লোডিংয়ের কার্যক্রম শুরু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কারণে প্রি-ওসার্ট মিশন পরিচালনা করা প্ল্যান্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্প পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে নির্মিত হচ্ছে। এখানে দুটি ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর থাকবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রথম জ্বালানি লোডের তিন থেকে ছয় মাস আগে আইএইএর প্রি-ওসার্ট মিশন সম্পন্ন করা হয়, যাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0