বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে

সকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টার দিকে তা ২ সেন্টিমিটার কমে ৫ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছে।

ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

নীলফামারী: উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলের ১০টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় তা কিছুটা কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে নেমে আসে।

ডালিয়া পয়েন্টের গেজ পাঠক নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে পানি বাড়তে শুরু করে। সকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টার দিকে তা ২ সেন্টিমিটার কমে ৫ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জুলাইয়ের শেষ থেকে চলতি মাসে তিন দফা বন্যা হয়েছে। তবে প্রথম দুই দফায় পানি দ্রুত নেমে গেলেও এবার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে আমন ধান ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। অনেক পরিবার গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে উঁচু স্থানে।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সারারাতের বৃষ্টিপাতের পর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে চর গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘এলাকার লোকজন বন্যা আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। এ ছাড়াও নিম্নাঞ্চল ও বিস্তীর্ণ এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেকোনও সময় লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘আজ ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর সকাল ৯টায় ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজে ৪৪টি জলকপাট (স্লুইচ গেট) খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ভারতের উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বাড়ছে-কমছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। সকালের তুলনায় ২ সেন্টিমিটার কমেছে। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0