স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: চট্টগ্রামে সাদা আর মিরপুরে লাল বলে চলছে অনুশীলন। এই ক্রিকেটারদের মধ্য থেকেই বাংলাদেশ ‘এ’ দল গড়া হবে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য। ডারউইনে প্রথমে টি২০ টুর্নামেন্ট, পরে চার দিনের ম্যাচের সিরিজ। খুবই জমজমাট একটি টুর্নামেন্ট হবে বলে আশা। এজন্য যে ক্রিকেটারদের নেওয়া হবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ভাষায়, তারা সৌভাগ্যবান। কারণ তারা জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটার।
এই পাইপলাইনে নিজেকে খুব মিস করেন মোসাদ্দেক। ঢাকা লিগে ভালো খেলার সুবাদে পাইপলাইনে ফেরার প্রত্যাশায় ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ টাইগার্সে ক্যাম্প করার পর স্বপ্ন দেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে ‘এ’ দলের সঙ্গী করা হতে পারে তাঁকে। সে সুযোগ না দেওয়ায় হৃদয় ভেঙেছে ২৯ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের। নিজেকে এখন উপেক্ষিত মনে করেন তিনি।
কেন স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে মোসাদ্দেকের? মেহেদী হাসান মিরাজের কারণে না হয় ওয়ানডে দলে নেওয়া হবে না, সেক্ষেত্রে টি২০ দলের জন্য কি তাঁকে প্রস্তুত করা যেত? উত্তরে বিসিবি জাতীয় নির্বাচক প্যানেলের প্রধান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবারও মোসাদ্দেককে আশাহতের গল্প শুনিয়েছেন।
গণমাধ্যমকে গতকাল তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে যে দুই সংস্করণে খেলা হবে, সেখানে মোসাদ্দেক বিবেচিত হবেন না। ওয়ানডের ক্যাম্প হলে সে থাকতে পারে। টেস্ট বা টি২০ দলে তাকে নেওয়ার সুযোগ দেখি না। লক্ষ্য করলে দেখবেন, মোসাদ্দেক গত বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে কোনো দল পায়নি। তার টি২০ পারফরম্যান্স কাঙ্ক্ষিত মানের নয়। টি২০ খেলার ফিটনেসেও ঘাটতি আছে। ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে তাকে।’
মোসাদ্দেক জাতীয় দলে তিন সংস্করণেই খেলেছেন। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে অলরাউন্ডার হিসেবে খারাপ করেননি। জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকার পরও ‘এ’ দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, অন্তত ‘এ’ দলে নেওয়া হবে। ওখানে ভালো করলে পাইপলাইনে রাখবে। আমাকে তো এখন ‘এ’ দলেও বিবেচনা করা হচ্ছে না। একজন ক্রিকেটার হিসেবে এই উপেক্ষা হতাশাজনক। এভাবে উপেক্ষিত হলে ভালো খেলায় আগ্রহ থাকে না।’
খেলা না থাকলে ময়মনসিংহেই থাকেন মোসাদ্দেক। ফিটনেস বা ব্যাট-বলের কাজগুলো ওখানেই করেন। গতকালও সন্ধ্যায় জিম থেকে ফিরে আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমাকে হয়তো আর মূল্যায়ন করা হবে না।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0