এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: দুই বছর আগে শুটিং সেটে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর, বাঁচার সম্ভাবনাও ছিল ক্ষীণ। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেই আঁখি এবার উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় ঝলসে যাওয়া শিশুদের যন্ত্রণা যেন নিজের ভেতর থেকে অনুভব করছেন। নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে, তিনি সামাজিক মাধ্যমে দুর্ঘটনা কবলিত শিশুদের চিকিৎসা এবং পরিচর্যা নিয়ে কিছু জরুরি এবং আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন, যা সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিজের ফেসবুকে শারমিন আঁখি লিখেছেন, “আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এই সময়টা। আগুনে পোড়ার পরবর্তী প্রভাব হচ্ছে ইনফেকশন।”
তিনি তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা বলেন, “ইনফেকশনের কারণে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। পোড়ায় মরে না। চামড়ার পোড়ার কষ্টের সাথে অন্য কোনো যন্ত্রণা মেলাতে যাবেন না। ওপরটা পোড়ায় ভেতরটাও পোড়ায়।”
আঁখি আরও জানান, পোড়ার চিকিৎসার পথটি কতটা যন্ত্রণাদায়ক। তিনি লেখেন, “ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরও অসহ্যকর। নতুন চামড়া আসলেই সেই চামড়া ঘষে আবার তোলা হয়। ট্রমা শুরু হবে আর দশ দিন পরে। এখন প্রতিটা বাচ্চা অনুভূতি শূন্য।” তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে অনুরোধ করেন, “এই মুহূর্তে, একমাত্র ডাক্তার ছাড়া ওদের আশপাশে যত কম যাওয়া যায় ততই ভালো।”
সবশেষে তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বাসায় ফেরার পর প্রত্যেকটা বাচ্চার মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছি। শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতাটা অনেক জরুরি।”
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ চিকিৎসাধীন।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0