এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তিনি ছিলেন বলিউডের অন্যতম শীর্ষ নায়িকা। গুরু দত্ত, দিলীপ কুমার, রাজকুমার থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন— সবার সঙ্গেই তিনি উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সিনেমা। কিন্তু খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থাতেই, একটি মাত্র ভুল এবং বিতর্কিত মন্তব্য তাঁর উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে দেয়। তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী মালা সিনহা।
সময়টা ছিল ১৯৭৮ সাল। মালা সিনহার ক্যারিয়ার তখন মধ্যগগনে। হঠাৎই একদিন তাঁর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের কর্মকর্তারা। তল্লাশির সময়, তাঁর বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১২ লাখ রুপি! সেই সময়ে ১২ লাখ ছিল এক বিশাল অঙ্ক, যার কোনো সঠিক হিসাব অভিনেত্রী দিতে পারেননি।
এই ঘটনায় মামলা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত।
শোনা যায়, আদালতে যখন এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, তখন মালা সিনহা চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন, “সব টাকা দেহব্যবসা করে কামিয়েছি!”
এই একটি কথা শুনে উপস্থিত বিচারক থেকে শুরু করে সবাই চমকে গিয়েছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে, মালা সিনহাকে তাঁর বাবা এবং আইনজীবীই নাকি পরামর্শ দিয়েছিলেন এই মিথ্যা গল্পটি বলার জন্য। তাঁরা ভেবেছিলেন, দেহব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত আয়ের কোনো হিসাব দিতে হবে না, এবং এভাবে বললে তিনি হয়তো বেঁচে যাবেন।
কিন্তু এই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি তাঁর শেষ রক্ষা করতে পারেনি। তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা তো দিতেই হয়েছিল, পাশাপাশি তাঁর এতদিনের গড়ে তোলা ভাবমূর্তি মুহূর্তেই ধুলোয় মিশে গিয়েছিল। এই ঘটনার পরই তাঁর ক্যারিয়ারের গ্রাফ দ্রুত নিচের দিকে নামতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে তিনি সিনেমা জগৎ থেকে হারিয়ে যান।
কথিত আছে, মালা সিনহা অত্যন্ত কৃপণ স্বভাবের ছিলেন এবং টাকা বাঁচানোর জন্য নিজের ঘরের কাজও নিজে করতেন। বাথরুমে এত টাকা লুকিয়ে রাখার ঘটনাটি সেই গুঞ্জনকেও আরও উস্কে দিয়েছিল।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0