রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লালনসম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন আর নেই

আজ, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে, ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

ছবি-সংগৃহীত

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তী শিল্পী, লালন সাঁইয়ের গানের সুর ও বাণীকে যিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বদরবারে, সেই ‘লালনসম্রাজ্ঞী’ ফরিদা পারভীন আর নেই। আজ, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে, ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

বরেণ্য এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এবং সপ্তাহে দুই দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো। গত ২ সেপ্টেম্বর, নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং গত বুধবার থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

নজরুল সংগীত দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, ফরিদা পারভীনের মূল পরিচিতি গড়ে ওঠে লালনের গানকে কেন্দ্র করে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কুষ্টিয়ার এক চিকিৎসকের অনুরোধে এবং বাবার অনুপ্রেরণায় তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও লালনসংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মোকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছে ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শেখেন। দোলপূর্ণিমার এক উৎসবে সেই গানটি গাওয়ার পর, শ্রোতাদের বিপুল সাড়া পেয়েই তিনি লালনের গানের জগতে পুরোপুরি প্রবেশ করেন।

১৯৫৪ সালে নাটোরে জন্মগ্রহণ করা ফরিদা পারভীনের সংগীত জীবনের ব্যাপ্তি ছিল প্রায় ৫৫ বছর। তিনি তাঁর অবদানের জন্য একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩) এবং জাপানের সম্মানজনক ফুকুওকা পুরস্কার (২০০৮) লাভ করেন।

‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’-এর মতো অসংখ্য লালনগীতির পাশাপাশি, ‘তোমরা ভুলে গেছ মল্লিকাদির নাম’-এর মতো আধুনিক গানেও তিনি সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু বাংলা সংগীত জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল।

বাংলাফ্লো/এইচএম 

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0