বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঘরেই চাষ করুন বিষমুক্ত সুপারফুড মাইকোগ্রীনস

মূলত যে কোনো সবজির বীজ অঙ্কুরোদগমের কয়েকদিনের মধ্যেই ঐ চারা বা কচি পাতাগুলোকে বলা হয় মাইকোগ্রীনস। যা শুধু দেখতেই সুন্দর না বরং পুষ্টিগুণে ভরপুর!

ছবি সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ঢাকা: একবার ভাবুন তো, এই শহুরে জীবনে একটুকরো জমি বা বাড়ির ছাদ ছাড়াই আপনি ঘরেই পেয়ে যাচ্ছেন এমন কিছু যা আপনার পুষ্টি যোগাবে।

আপনার ফ্ল্যাটের মধ্যেই কোনোরকম সার, কীটনাশক কিংবা রোদ ছাড়াই চাষ করে ফেলছেন এমন কিছু যেটা আপনার শরীরের পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগান দেয়ার মতো ফসল।

অবাক লাগছে? অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। খুব অল্প জায়গায় ও খুব অল্প খরচে আপনি ঘরেই উৎপাদন করতে পারেন বিষমুক্ত একটি সুপারফুড। যা মেটাবে আপনার পুষ্টির চাহিদা। একই সঙ্গে অসুখ বিসুখ থেকেও আপনাকে রাখবে দূরে। 

বলছি মাইকোগ্রীনসের কথা!

অনেকের কাছেই হয়তো শব্দটা নতুন। অবশ্য এই ধারনাটাও বাংলাদেশে নতুনই বটে। তবে আধুনিক বিশ্বে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আসুন আগে জেনে নেই, এই মাইকোগ্রীনস আসলে কি? 

মূলত যে কোনো সবজির বীজ অঙ্কুরোদগমের কয়েকদিনের মধ্যেই ঐ চারা বা কচি পাতাগুলোকে বলা হয় মাইকোগ্রীনস। যা শুধু দেখতেই সুন্দর না বরং পুষ্টিগুণে ভরপুর! ভিটামিন মিনারেল আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরা এই মাইকোগ্রীন নিয়মিত খেলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ত্বক হয় উজ্জ্বল, শরীরের ভেতরে থাকা টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। আর এর চাষ পদ্ধতিও খুবই সহজ।

ঘরে বা বারান্দায় খুব ছোট পরিসরেই চাষ করা যায় পরিবারের সবার জন্য প্রয়োজনীয় মাইকোগ্রীনস।

এতে খুব বেশি মাটিও দরকার হয় না। ১ থেকে ২ ইঞ্চি উচু মাটির স্তরেই চাষ করা সম্ভব মাইকোগ্রীনস।

মাটির পরিবর্তে কোকোপিট ব্যাবহার করা যায় এতে। এমনকি মাটি, কোকোপিট ছাড়াই শুধুমাত্র পানিতে চাষ করা যায় এই সুপারফুড। সাধারণত লালশাক, পালং শাক, মুলা, বিট্রুট, সরিষা, মুগ ডাল, ব্রোকলি, গম, সূর্যমুখী, মটরশুঁটি এসব ফসলের মাইকোগ্রীনসই বেশি চাষ হয়ে থাকে।

তবে মাইকোগ্রীনস চাষের বীজ হতে হবে নন জিএমও অর্থাৎ জেনেটিকালি মডিফায়েড (Genetically Modified Organism - GMO) নয়।

যেসব বীজ জেনেটিক বা বংশগত গঠন পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করা হয়নি তাই নন জিএমও। এই নন জিএমও বীজ কোকোপিট, মাটি বা পানির উপরে ঝাঁজরিতে ছিটিয়ে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এবার পাত্রটি রেখে দিন ঘরের এমন কোনো জায়গায় যেখানে আলো, বাতাসের সরবরাহ রয়েছে। মাইকোগ্রীনস চাষে রোদের প্রয়োজন হয় না। ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই পাবেন খাওয়ার মতো টাটকা মাইকোগ্রীন।

এই মাইকোগ্রীনস সালাদে, স্যান্ডউইচে বা যেকোনো খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। এটি সাধারণত কাঁচাই খাওয়া হয় কারণ এভাবে পুষ্টিমান অক্ষুন্ন থাকে। বাংলাদেশে এখনো এতো জনপ্রিয় না হলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা ইতমধ্যেই নিজেদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করেছেন এই জাদুকরী খাবার।

বাংলাফ্লো/আফি  

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0