এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: ভারতীয় সিনেমার পর এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে নেপালের সিনেমা। সাফটা চুক্তির আওতায়, আগামী ১৮ জুলাই মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে নেপালি ছবি ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’। এটিই হতে যাচ্ছে দেশের হলে মুক্তি পাওয়া প্রথম কোনো নেপালি চলচ্চিত্র, যা বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায় সূচনা করছে।
সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ: ২০২৩ সালে সরকার উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি দিলেও, এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ভারতীয় সিনেমাই মুক্তি পেয়েছে। এবার শো-মোশন লিমিটেডের আমদানিতে নেপালি সিনেমার এই যাত্রা শুরু হচ্ছে। এটি একটি দ্বিমুখী বিনিময়। এই সিনেমার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে নেপালের প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে তানিম রহমান অংশু পরিচালিত এবং স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ন ডরাই’। শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল অভিনীত এই ছবিটি ২০১৯ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ ৬টি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিল।
‘মিসিং’-এর ভিন্নধর্মী গল্প: দীপেন্দ্র গাউছান পরিচালিত ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’ মুক্তির পর নেপালে বেশ আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছে। সিনেমাটির গল্প দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীকে ঘিরে। ডেটিং অ্যাপে পরিচয়ের পর, ছেলেটি কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে। তবে এই ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ যাত্রা শেষ পর্যন্ত এক গভীর প্রেমের জন্ম দেয়। সিনেমাটিতে নেপালের তরাই অঞ্চলের মধেশের মনোরম প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও জীবনধারা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রিষ্টি শ্রেষ্ঠা ও নাজির হুসেন।
জমকালো প্রিমিয়ার: এই ঐতিহাসিক মুক্তি উপলক্ষে আগামী ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্সের এয়ারপোর্ট সংলগ্ন সেন্টার পয়েন্ট শাখায় ছবিটির একটি প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি ‘মিসিং’ সিনেমার পরিচালক, প্রযোজকসহ অন্যান্য কলাকুশলী এবং বাংলাদেশের সিনেমা ‘ন ডরাই’-এর কলাকুশলীরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
সব মিলিয়ে, এই উদ্যোগটি দুই দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0