এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: বলিউডের সোনালি যুগে রুপালি পর্দার প্রেম বহুবারই গড়িয়েছে বাস্তব জীবনে। তবে হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রর প্রেম কাহিনী যেন যেকোনো সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। সেখানে ছিল প্রেম, প্রত্যাখ্যান, নাটকীয়তা এবং ধর্ম পরিবর্তন— কী ছিল না!
‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীকে শুধু ধর্মেন্দ্রই নন, আরও অন্তত দুজন বড় তারকা বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। অভিনেতা সঞ্জীব কুমার দুই-দুইবার তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, কিন্তু হেমা রাজি হননি। এরপর সঞ্জীবের হয়ে প্রস্তাব নিয়ে যান আরেক অভিনেতা জিতেন্দ্র। কিন্তু সুযোগ বুঝে জিতেন্দ্র নিজেই হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং হেমার মা-সহ দুই পরিবারই তাতে রাজি হয়ে যায়।
হেমা এবং জিতেন্দ্রর বিয়ে প্রায় সম্পন্নই হয়ে গিয়েছিল। তিরুপতি মন্দিরে বিয়ের আয়োজনও সারা। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই গল্পে আসে নাটকীয় মোড়। জিতেন্দ্রর শৈশবের প্রেমিকা শোভা সিপ্পি (বর্তমান স্ত্রী) ছুটে যান ধর্মেন্দ্রর কাছে এবং এই বিয়ে আটকানোর জন্য অনুরোধ করেন।
শোনা যায়, শোভা ও ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে বিশেষ বিমানে চেপে চেন্নাই পৌঁছান এবং সেখান থেকে মন্দিরে যান। একদিকে শোভা জিতেন্দ্রকে তাঁর ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেন, অন্যদিকে আরেক কক্ষে ধর্মেন্দ্র হেমা মালিনীকে প্রাণপণ অনুরোধ করেন বিয়েটা না করার জন্য। দুই পরিবারের কাছে বিষয়টি অপমানজনক হলেও, শেষ পর্যন্ত সেই বিয়ে ভেঙে যায়।
তবে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ের পথেও ছিল বড় বাধা। ধর্মেন্দ্র তখন বিবাহিত এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর তাঁকে ডিভোর্স দিতে রাজি ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে, হিন্দু আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ে করা সম্ভব ছিল না।
অবশেষে, একসঙ্গে থাকার জন্য তাঁরা দুজনেই ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে ধর্মেন্দ্রর নাম হয় ‘দিলওয়ার খান কেওয়াল কৃষ্ণ’ এবং হেমা নাম নেন ‘আয়েশা বি আর চক্রবর্তী’। ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং ১৯৮০ সালের ২ মে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন।
প্রেমের জন্য এত বাধা পেরিয়ে এক হওয়ার এই কাহিনী হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর জুটিকে বলিউডের ইতিহাসে এক অমর প্রেম কাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0