বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যু ২৯, চিকিৎসাধীন ৬৯: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এক হালনাগাদ তথ্যে এ কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হাসান মো. মঈনুল আহসান এতে স্বাক্ষর করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আজ পর্যন্ত ২৯ জন মারা গেছেন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৬৯ জন।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এক হালনাগাদ তথ্যে এ কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হাসান মো. মঈনুল আহসান এতে স্বাক্ষর করেছেন।

যদিও মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছিল মৃত্যু ৩১ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইএসপিআরের সঙ্গে সমন্বয় করেই এই তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২১ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১ জন এবং হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতালে ১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

আর মৃতদের মধ্যে ১১ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ১৫ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, লুবানা জেনারেল হাসপাতালে ১ জন, এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জন মারা গেছেন।

আইএসপিআরের সঙ্গে তথ্যে গড়মিল কেন হচ্ছে, এর ব্যাখ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গতকাল (মঙ্গলবার) জানিয়েছেন, উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল থেকে একজনের মৃতদেহ সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। সেই সংখ্যাটি নিয়ে আমাদের তথ্যের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। আমরা বলেছি ১৫ জন, সিএমএইচে ১৫ জনের মৃতদেহ আছে। যদিও আইএসপিআরের তথ্যে ১৬ জন বলা আছে। তথ্যের পার্থক্যগুলো দূর হতে একটু সময় লাগবে। এছাড়া আইএসপিআরের তথ্যে লুবানা হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওই হাসপাতালের তথ্য সম্পর্কে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রিতে কোথাও মৃত্যু নেই। কিন্তু তারা মুখে বলছে, দুজনকে মৃত অবস্থায় তাদের অভিভাবকেরা নিয়ে এসেছিলেন। ওই দুজনের নাম পরে কোনও হাসপাতালে আসেনি।

বাংলাফ্লো/এনআর

Leave a Comment

Comments 0