বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। জালালের পক্ষে তার আইনজীবী রফিকুল ইসলাম (হিমেল) জামিন শুনানি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালাল আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তিতি এবং ঢাবির ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিউল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে থেকে লেখাপড়া করতেন। জালাল আহমদ বিভিন্ন সময় রবিউল হককে হলের রুমের ভেতর নানা ধরনের হুমকি ও মারপিট করতেন। গত ২৬ আগস্ট রাত ১২ টার দিকে রবিউল হক রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে জালাল আহমদ রুমের ভেতরে প্রবেশ করে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালান এবং চেয়ার টানাহ্যাঁচড়ার মাধ্যমে বিকট শব্দ করতে থাকেন। এতে রবিউলের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি জালাল আহমেদকে বলেন, ‘ভাই আমি সকালে লাইব্রেরিতে যাবো। ঘুমানো দরকার। আপনি একটু আস্তে শব্দ করেন।’ এতে আসামি জালাল আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের সাথে তর্কবির্তক শুরু করেন। একপর্যায়ে জালাল আহমেদ রবিউলকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর জালাল আহমেদ রুমের ভেতরে থাকা পুরোনো টিউব লাইট দিয়ে রবিউলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করেন। রবিউল মাথা সরিয়ে নিলে টিউব লাইটের আঘাত তার বুকের বাম পাশে লাগে। এতে রবিউলের বুকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। অন্যান্য রুমের শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে রবিউলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে জালালকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়।
রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ ঘটনার পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
সেদিন জামিন আবেদন নাকচ করে জালালকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত সোমবার জালালের জামিন আবেদন করেও প্রত্যাহার করে নেন তার আইনজীবী। গতকাল মঙ্গলবার জামিন আবেদন করেও আইনজীবী শুনানিতে যাননি। আজ তার আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিলেও জামিন আবেদন নাকচ কেরে দেন আদালত।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0