বিনোদন ডেস্ক
ঢাকা: চলচ্চিত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা প্রকাশ রাজ। সম্প্রতি পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের অভিনীত রোমান্টিক ছবি ‘আবির গুলাল’ নিষিদ্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি কোনো ছবির নিষেধাজ্ঞার পক্ষপাতী নই—সেটি ডানপন্থী চিন্তাধারার হোক বা প্রচারমূলক। বিচার করার অধিকার জনগণের। ছবি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে শুধুমাত্র পর্নোগ্রাফি বা শিশু নির্যাতনের মতো বিষয় হলে। কিন্তু কারও চিন্তাধারার জন্য নয়। আসতে দিন, মানুষ নিজেরাই বিচার করবে।”
প্রকাশ রাজ উদাহরণ হিসেবে বলেন, “পদ্মাবত ছবি ঘিরে দীপিকা পাড়ুকোনের নাক কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পাঠান ছবির ‘বেশরম রং’ গানেও শুধুমাত্র গেরুয়া বিকিনি পরে থাকায় হৈচৈ পড়ে যায়। আজকাল যেকোনো কিছুতেই মানুষের ‘আত্মা আহত’ হয়ে যাচ্ছে।”
তার মতে, “বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এই ধরনের হুমকি ও বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এতে করে সমাজে এক ধরনের ভয় ছড়িয়ে পড়ছে এবং অনেক নির্মাতা রাজনৈতিক বা সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করতেই সাহস পাচ্ছেন না।”
তিনি আরও বলেন, “এখন শুধু রাজ্যস্তরে নয়, সেন্সরশিপকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সরকার নিজেরাই ঠিক করে দিচ্ছে কোন ছবি তৈরি হবে, কোনটা নয়। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে—তারা যেন সাহস করে কিছু না লেখে বা বানায়।”
L2: Empuraan ছবির উদাহরণ টেনে তিনি জানান, “ছবিটি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলেও গোধরা কাণ্ড সংক্রান্ত একটি দৃশ্য নিয়ে আপত্তি উঠলে অভিনেতা মোহনলালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয় এবং ছবিতে কাটছাঁট করা হয়। অথচ দ্য কাশ্মীর ফাইলস অনায়াসে মুক্তি পায়।”
তার বক্তব্য, “শুধু বিজেপি নয়, যেকোনো শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারই প্রশ্ন সহ্য করতে পারে না। যার হাতে বেশি ক্ষমতা থাকে, সে একসময় অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে।”
প্রকাশ রাজের স্পষ্ট বার্তা—“চলচ্চিত্র শিল্পে ভয় নয়, চাই স্বাধীনতা। মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে, কিন্তু জবাব হওয়া উচিত শিল্প দিয়ে, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয়।”
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0