চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায় শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়ি থেকে টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের শুরু হয়। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম বাদ দিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়ক। ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরণের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এই গাড়িগুলো থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে এর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধন হলেও তখন গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। গতবছরের আগস্ট মাসে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্ধারণ করা টোলের হার পরিবর্তন করে গত ৩ নভেম্বর নতুন প্রস্তাব পাঠায় সিডিএ। ২৭ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় টোলের হার চূড়ান্ত করে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলার ওঠা-নামার সুযোগ রাখা হয়নি। চূড়ান্ত হওয়া টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে টোল দিতে হবে ৩০ টাকা ও কার ৮০ টাকা করে। জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা। পিকআপ থেকে নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মিনি বাস ও ট্রাক (চার চাকা) থেকে ২০০ টাকা করে, বাস থেকে ২৮০ টাকা নেওয়া হবে। ট্রাক (৬ চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। জেবি