শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বন্ধুত্ব ফ্রি ফায়ার গেমে, মৃত্যু কালশী ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনায়

বন্ধুত্বের কারণেই তোফাজ্জলের সাথে দেখা করতে আসে রিয়াদ। গতকাল সন্ধ্যায় রিয়াদকে নিয়ে ঢাকার রাস্তায় বেড়াতে বের হয়েছিল তোফাজ্জল।

কালশী ফ্লাইওভারে নিহত দুই বন্ধু তোফাজ্জল (বামে) ও রিয়াদ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ফ্লো প্রতিবেদক

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর কালশী নতুন রাস্তা ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত দুই যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

পরিবার বলছে, নিহত দুই শিক্ষার্থী মোবাইলফোনে ফ্রী ফায়ার গেমের মাধ্যমে দুইজনের বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনরা দুটি লাশ শনাক্ত করেন। নিহতরা হলেন - রিয়াদ (১৬) অপরজনের নাম তোফাজ্জল (১৭)।

তোফাজ্জলের বড় ভাই মো. নাঈম বলেন, আমাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার মাওরা গ্রামে। বাবার নাম রেনু মিয়া। বর্তমানে মানিকদি বাজার এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। তার বাবা মানিকদি বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। তোফাজ্জল ইসিবি চত্বরে একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মাঝেমাঝে বাবার দোকানে বসতো সে।

তিনি বলেন, নিহত রিয়াদ ও তোফাজ্জল দুইজন বন্ধু ছিল। রিয়াদের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বেড়াতে আসে রিয়াদ। মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেমের মাধ্যমে রিয়াদের সঙ্গে তোফাজ্জলের পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। সেই বন্ধুত্বের কারণেই তোফাজ্জলের সাথে দেখা করতে আসে রিয়াদ। গতকাল সন্ধ্যায় রিয়াদকে নিয়ে ঢাকার রাস্তায় বেড়াতে বের হয়েছিল তোফাজ্জল। এ সময় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল তোফাজ্জল। পরে মিরপুর কালশী ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনায় তারা মারা যায়। এতে রিয়াদ ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যায় ও তোফাজ্জল ছিটকে পড়ে ফ্লাইওভারে।

এদিকে রিয়াদের মামাতো ভাই মো. রাসেল বলেন, তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার হামান কুদ্দি গ্রামে। রিয়াদের বাবা বিল্লাল কাজী দুবাই প্রবাসী। রিয়াদ এলাকার একটি মাদ্রাসায় হাফেজি পড়তো। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় সে বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যায়। আজ সকালে জানতে পারি সে দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ফ্রি ফায়ার গেমের মাধ্যমে তোফাজ্জলের সঙ্গে পরিচয় হয় রিয়াদের।

গতকাল শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর ১২ কালশী নতুন রাস্তা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের লাশ শনাক্ত করেছে পরিবার। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া দুটি লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কাজ চলছে।

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0