শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ের হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়ই যখন ডাক্তার!

কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় শহিদুল ইসলামই শিশুটির আঙুলে দুটি সেলাই দেন। প্রায় ২০ মিনিট পর, শিশুর স্বজনরা জেলার সিভিল সার্জনকে বিষয়টি জানালে, তড়িঘড়ি করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি হাসপাতালে আসেন।

ছবি-সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ডাক্তার না থাকায়, আহত এক শিশুর আঙুলে সেলাই দিয়েছেন একজন ওয়ার্ড বয়। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও, জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে রোগীদের অপেক্ষা করার এবং চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

আটোয়ারী উপজেলার ফরহাদ হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান খেলতে গিয়ে হাত কেটে ফেললে, তাকে দ্রুত বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই।

উপায় না দেখে, কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় শহিদুল ইসলামই শিশুটির আঙুলে দুটি সেলাই দেন। প্রায় ২০ মিনিট পর, শিশুর স্বজনরা জেলার সিভিল সার্জনকে বিষয়টি জানালে, তড়িঘড়ি করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি হাসপাতালে আসেন।

হাসপাতালে উপস্থিত রঞ্জন নামের আরেক রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জরুরি বিভাগে বসে আছি। কিন্তু এখানে কোনো ডাক্তার নেই।” মমতা নামে আরেকজন জানান, রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোমেনা বেগম জনি বলেন, “আমার ছোট বাচ্চা আছে, এজন্য আধা ঘণ্টা দেরি হতেই পারে। ইমারজেন্সি রোগী আসলে আমাকে জানানো হয়।”

বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবীর বলেন, “জরুরি বিভাগের ডাক্তার ছিল না, এটা আমার জানা নেই। সেই সময় কোন ডাক্তার ডিউটিতে ছিল, খোঁজখবর নিয়ে জানানো হবে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি এবং ওয়ার্ড বয় দিয়ে সেলাই করানোর এই ঘটনায়, এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বাংলাফ্লো/এইচএম

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0